বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: শীতলকুচির (Sitalkuchi) পর নদিয়ার হাঁসখালি। সাতসকালে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিতে ঝাঁজরা তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু তদন্ত। যদিও রানাঘাট সাংগাঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতির দাবি, তৃণমূলের কোনও পদে ছিলেন না মৃত ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আমোদ আলি বিশ্বাস। নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার রামনগর বড় চুপড়িয়ার তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার সকালেও বাজারে এসেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। যে চায়ের দোকানে প্রতিদিন বসেন, এদিনও সেখানেই ছিলেন। ভাবতে পারেননি পরিচিত ওই জায়গায় এমন বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে। এদিন আচমকা চায়ের দোকানের সামনে বাইক নিয়ে হাজির হন আট থেকে ১০ জন। সকলের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। আচমকাই তারা আমোদ আলিকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যান তৃণমূল নেতা। লুটিয়ে পড়েন মাটিতে।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের ছকে দেওয়া ব্লু প্রিন্টে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে খুন! ১৬ দিনে জয়পুর হত্যাকাণ্ডের কিনারা]
প্রত্যক্ষদর্শীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “বিরোধীদের উসকানিতে রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।” বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “তৃণমূলের জমানায় দুষ্কৃতীদের অবাধ দৌরাত্ম্য চলছে। এগুলিই তার ফল।”