নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে ফের নিজের মেজাজে অনুব্রত মণ্ডল। গুড়, বাতাসা, চড়াম চড়ামের পর আসন্ন ভোটে চকলেট, বিস্কুট, জল দেওয়ার কথা বললেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। নির্বাচনে ভয়ংকর খেলা হওয়ার আগাম হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি।
রবিবার বীরভূমের মহম্মদবাজারের কাঁইজুলি স্কুলের মাঠে সভা ছিল তাঁর। জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) বলেন, “এবার বিধানসভা নির্বাচনে ভয়ংঙ্কর খেলা হবে। যে যে ধরনের খেলা চাইবে সেই ধরনের খেলা হবে। এই মাটিতেই খেলা হবে। শুধু বীরভূমে নয়। খেলা হবে রাজ্যজুড়ে। রাজ্যের সব বুথে খেলা হবে। মেদিনীপুরে হবে, জলপাইগুড়িতে হবে। যে যেখানে চাইবে সেখানে খেলা হবে। যারা চাইবে তাদের সঙ্গে খেলা হবে।সব জায়গায় চকলেট থাকবে, বিস্কুট থাকবে, জল থাকবে। কেউ অন্য কিছু চাইলে অন্য কিছু থাকবে।আর আম্পায়ার হবে যাঁরা তৃণমূলের হয়ে সেই এলাকায় প্রার্থী হবেন। খেলার নিয়মে যেখানে যেমন খেলার দরকার তেমন হবে। ক্রিকেটে ১১ জন খেলে। কিন্তু থাকে কতজন? ফুটবলে কতজন বাইরে থেকে খেলে জানেন?”
এরপরেই তিনি ঘোষণা করেন, “রামপুরহাটে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সাঁইথিয়ায় নীলাবতী সাহা, লাভপুরে রাণা সিং আম্পায়ার থাকবে।” তাহলে কি দলের তরফে নাম ঘোষণার আগেই তিনি বিধানসভা কেন্দ্রের আগাম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নে অবশ্য সতর্ক অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “ওরা তো এলাকার বিধায়ক। আমি কি আগে থেকে নাম ঘোষণা করতে পারি? কে প্রার্থী হবে তার নাম ঘোষণা করবে দল।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যের করোনা গ্রাফে স্বস্তি, দৈনিক সংক্রমিতের তুলনায় ফের ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতা]
নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose) জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষের জবাবও আগামী ভোটে বিজেপি পাবে বলেই দাবি করেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, “বিজেপি কোনও সংস্কৃতি জানে না।” এদিন দুবরাজপুরের লোবা গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমানের প্রতিবাদে বাইক মিছিল করে তৃণমূল। যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বাইক মিছিল তো নিষিদ্ধ নয়। ভাল জিনিস। যে পারবে সে করবে। ভোট ঘোষণা হলে বাইক মিছিল বন্ধ হবে।”
দিনকয়েক আগেই নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) বিশ্বভারতীর উপাচার্য ‘পরিযায়ী’ বলে আক্রমণ করেন। সে প্রসঙ্গেও তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন অনুব্রত। জনসভায় বলেন, “এদের হাতে বাংলা নিরাপদ নয়। একমাত্র সাধারণ ঘরের মেয়ে মমতাই পারেন আপনাদের দুঃখের কথা বুঝতে। তাই ৬৯টি প্রকল্প মানুষের স্বার্থে করেছিলেন।” একটি ভোটও যাতে নষ্ট না হয় জোড় হাতে সেই আবেদন করেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।