ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ফের ‘কুকথা’ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। আরও একবার বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিলেন তিনি। ফের গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একহাত নিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তৃণমূল কর্মীদের মারার আগেই বিজেপি কর্মীদের হাতের কবজি ভেঙে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
শুক্রবার লাভপুরের ফুল্লরা সিনেমাহলে লাভপুর ব্লক তৃণমূলের (TMC) বিজয়া সম্মেলনী ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, তরুণ চক্রবর্তী, মান্নান হোসেন-সহ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতর নেতা এবং সদস্যরা। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই অনুব্রত মণ্ডল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে একহাত নেন। তিনি বলেন, “এখন মানুষ কাজ চাইছে। লাভপুরে কাজের মানুষকে বিধায়ক করা হয়েছে। রানা মানুষের পাশে থেকে কাজ করবে।”
[আরও পড়ুন: ভিনধর্মে প্রেমের ‘শাস্তি’ দিতে যুগলের চুল কেটে হেনস্তা! গ্রেপ্তার প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী]
এদিকে শুক্রবার কাঁটোয়াতে বিজেপির সভাতে বিজেপি (BJP) কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “আগে বাংলার বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিল ভেড়া। এখন একটা ছাগল এসেছে। তাই ওদের কেউ মানতে চাইছে না। কেন মানবে এই ভেড়া এবং ছাগলকে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তৃণমূলকে হুমকির পালটা বিজেপিকে একহাত নেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর হুঁশিয়ারি, “বিজেপি হাত কিংবা লাঠি দিয়ে মারবে। কিন্তু মারার আগেই যদি হাতের কবজিটা ভেঙে যায় তখন কীভাবে মারবে? কবজিটা ভেঙে যেতে পারে মারার আগেই। তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই।”
তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে যোগ দিয়ে লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ রাজ্যের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “লাভপুরে একটা সময় বোমা, গুলি চলত। কিন্তু এখন শান্তি ফিরে এসেছে। এখন অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে লাভপুরে উন্নয়ন শুরু হয়েছে। আমার মানুষের পাশে আছি। সবসময় পাশে থাকব।”