শেখর চন্দ্র, আসানসোল: বহু বছরের অভ্যাস বলে কথা! তাই কৌশিকী অমাবস্যার রাতে খাসির মাংস খাওয়ার আবদার করেছিলেন গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল (Anurata Mandal)। কিন্তু এ তো আর নিজের বাড়ি নয়। জেলে ইচ্ছামতো খাবার পাওয়া সম্ভব নয়। তাই ওইদিন রাতে জেলের রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাবারদাবার খেতে হয়। তবে পরেরদিন রবিবার পাতে মাংস পেলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তবে আবদার মেনে নয়। এমনিতেই প্রতি রবিবার জেলে খাসির মাংস দেওয়া হয়। তাই ঘুরপথে হলেও শেষমেশ ইচ্ছাপূরণ হল অনুব্রতর।
গত ২৬ আগস্ট, শুক্রবার ছিল কৌশিকী অমাবস্যা। জেল সূত্রে খবর, ওইদিন কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amabashya) উপলক্ষ্যে আসানসোল সংশোধনাগারে কালীপুজো দেন বীরভূমের তৃণমূল (TMC)সভাপতি। সকালে স্নানের পর তিনি পোশাক বদল করেন। এরপর সংশোধনাগারের মন্দিরে কালীপুজো দিতে চান বলে জানান অনুব্রত। সংশোধনাগার চত্বরেই হনুমান মন্দিরের পাশে রয়েছে মা কালীর ছবি। ওইদিন সেখানে গিয়েই লাল জবার মালা, নকুলদানা, ধূপ দিয়ে পুজো দেন।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পন্থকে বাদ দেওয়ায় অবাক গম্ভীর, নেটদুনিয়ায় হঠাৎই ট্রেন্ডিং উর্বশী]
এমনিতে প্রতি বছরই এই বিশেষ দিনে তারাপীঠে গিয়ে মহাসমারোহেই মা তারার পুজো দেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনকী তারাপীঠে এই বিশেষ পুজোর প্রচারে ফ্লেক্স, ব্যানারে অনুব্রত ছবিতে ছয়লাপ থাকে। এবছর পরিস্থিতি একেবারেই ব্যতিক্রমী। আপাতত জেলবন্দি তিনি। তাই প্রচার থেকেও অনেকটাই দূরে। তবে তাতে আরাধনায় ছেদ পড়েনি।
সূত্রের খবর, ওইদিন রাতে মাংসও খেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ‘আবদার’ মতো খাবার জোটেনি তাঁর। প্রতি রবিবারই আসানসোল সংশোধনাগারে মাংস রান্না করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ৩৪ জন মহিলা বন্দি-সহ ৫২৪ জন বন্দির জন্য ৪৪ কেজি মাংস আনা হয়। সেই মাংসের ঝোল এবং ভাতই নাকি খেয়েছেন অনুব্রত। সঙ্গে ছিল তরকারিও। এদিকে, সোমবার অনুব্রতকে জেরায় আসানসোল সংশোধনাগারে যেতে হতে পারে সিবিআই। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর জেল হেফাজত শেষ হচ্ছে অনুব্রতর। তার আগে তথ্য জোগাড়ের খোঁজে এই পরিকল্পনা বলেই মনে করা হচ্ছে।