ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে দোলযাত্রা। ভোটের মরসুমে রঙের উৎসবে মেতেছে বঙ্গবাসী। উৎসবকে হাতিয়ার করে জনসংযোগে নেমেছেন রাজনৈতিক নেতারা। কিন্তু এমন রঙিন দিনে মন ভাল নেই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। রবিবার দিনভর বাড়িতেই রইলেন ‘মনমরা’ তৃণমূল নেতা। কিন্তু কেন?
সাধারণত অনুব্রতকে খোলা মনেই দেখা যায়। হাসি-ঠাট্টা করেন আবার কখনও শ্লেষের মোড়কেই বিরোধীদের কড়া বার্তা দিয়ে থাকেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা। কিন্তু বসন্তের এই রঙিন দিনে কিছুটা মনমরা ছিলেন সেই অনুব্রত-ই। এবার বাড়িতে বসেই রঙ খেললেন তিনি। বাড়ির সদস্য, নিরাপত্তা কর্মী, পরিচারক-পরিচারিকাদের নিয়ে নিজের মতো করে আনন্দ করেন। এদিন অনুব্রত নিজেই সাংবাদিকদের জানালেন, “ভাল লাগছে না। রবীন্দ্রনাথের এলাকায় দোল খেলা হচ্ছে না। একটা নোংরা ভিসি এসেছেন। তিনি আগেই বলেছিলেন, বিশ্বভারতী বন্ধ করে দেবেন। আর এই সবের নায়ক এখানকার বিজেপি প্রার্থী।”
[আরও পড়ুন : যুব তৃণমূল জেলা সভাপতির গাড়ির কাচ ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের]
তবে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই নয়। মন খারাপের ব্যক্তিগত কারণও ছিল। নিজের স্ত্রীকেও মিস করছেন এই দাপুটে নেতা। কিছুটা মনমরা হয়েই সাংবাদিকদের বললেন, “তোমাদের বউদি থাকলে আরও ভাল লাগত। বলত, দাদাকে রঙ মাখিয়ে দাও। নিজেও রঙ মাখিয়ে দিত।” তবে এদিনও বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অনুব্রত। কটাক্ষ করেছেন বিশ্বভারতীয় উপাচার্য ও প্রধানমন্ত্রীকেও।
অনুব্রতর বিস্ফোরক অভিযোগ,”বিজেপির প্রার্থী ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য হোটেলে বৈঠক করেছেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বোলপুরে এবার দোল উৎসব করতে দেবেন না। সেই বৈঠকের ছবিও আমাদের কাছে আছে। রবি ঠাকুরের এলাকায় এমন দোল উৎসব বন্ধ করে দেওযায় খুব খারাপ লাগছে।” তাঁর কথায়, “প্রতি বছর দোল উৎসবে প্রায় ৫-৬ লক্ষ মানুষ শান্তিনিকেতনে আসেন। কিন্তু বিশ্বভারতীর উপাচার্ষ এই উৎসব বন্ধ করে দিলেন। ওঁরা বলছেন, বোলপুরের মানুষকে খেতে দেবেন না। বিশ্বভারতী তুলে দিলেই ওঁদের এই পরিকল্পনা সফল হবে।” এদিন তাঁর আরও কটাক্ষ, “আরেক রবীন্দ্রনাথ তৈরি করা হচ্ছে। তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।” তবে এদিনও জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত। বললেন, “খেলা তো হবেই। ২ তারিখের পর আরও ভয়ংকর খেলা হবে। এই মাটিতেই খেলা হবে।”