ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: রাজনীতির অন্দরে কখন যে কী ঘটে, তা বোঝা তো ভগবানেরও সাধ্যি নেই! বঙ্গের রাজনৈতিক মহলও সাক্ষী রইল এমনই এক ঘটনার। বিজেপি (BJP)রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভাল সভাপতি’, বিরোধী পক্ষের সভাপতিকে দরাজ সার্টিফিকেট শাসকদলের নেতার। আর সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) নিয়ে তাঁর এই বক্তব্য ঘিরে ফের নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
শনিবার বোলপুরের তৃণমূল (TMC)কার্যালয়ে এসে শাসকদলে যোগ দেন খয়রাশোল, লোকপুর এলাকার বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী, সমর্থক। তাঁরা জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরেই দলবদল করেন। এই যোগদান অনুষ্ঠানেই অনুব্রত বলেন, “বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভাল সভাপতি। ধরাধর বাদ দিয়ে দিচ্ছে, স্ট্যামিনা আছে। সুকান্তবাবুকে আমি ধন্যবাদ জানাই। গুড ডিসিশন। কিছু করলেই ফেলে দাও।” প্রসঙ্গত, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বারবারই আক্রমণ করেছেন অনুব্রত। দুই শিবিরের দুই নেতার বাকযুদ্ধ একসময় রোজকার রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসত। তবে গেরুয়া শিবিরের বর্তমান রাজ্য সভাপতির প্রতি দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রত মণ্ডলের এই দরাজ সার্টিফিকেটেই স্পষ্ট, তাঁর অবস্থান বদলেছে।
[আরও পড়ুন: দিঘায় মৎস্যজীবীদের জালে উঠল শতাধিক তেলিয়া ভোলা, বাজারদর ২ কোটি টাকা!]
সামনেই শিলিগুড়ি-সহ ৪ পুরনিগমে ভোট। সেখানে ঘাসফুল শিবিরের হয়ে প্রচারে যাওয়ার কথা অনুব্রত মণ্ডল। তা নিয়ে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “শরীর ভাল থাকলে ভোট প্রচারে যাব।” শুক্রবার খয়রাশোলে অবৈধভাবে মজুত করা কয়লা চুরি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর মন্তব্য, “পুলিশের গাড়ি ভাঙবে, অসামাজিকভাবে কয়লা চুরি করবে, এসব মানব না৷ সাহস কী করে হয় যে ৪০ টন কয়লা চুরি করে রেখে দেওয়া হচ্ছে, পুলিশের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে? মানব না। আইন অনুযায়ী সবার শাস্তি হবে।”