শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। বারবার আদালতে জামিনের আবেদনই সার। এখনও মেলেনি জামিন। তারই মাঝে শরীরও ভাল নেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। তাই সোমবার আসানসোল সংশোধনাগার থেকে সোজা হাসপাতালে অনুব্রত। সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, “শরীর ভাল নেই।” হাসপাতালে ঢোকার মুখে বুকে ব্যথার কথাও জানান তিনি। দিন দিন ওজন কমছে তাঁর। গত তিনমাসে ৯ কেজি ওজন কমল অনুব্রতর।
ফিসচুলার সমস্যা নিয়ে জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। প্রায় এক ঘন্টা ধরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে স্পেশ্যাল অবজার্ভেশন রুমে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। হাসপাতাল সুপার ইনচার্জ উত্তম কুমার রায় জানান, অনুব্রতকে হাসপাতালে ভরতি করার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। অর্শে ক্ষত তৈরি হয়েছিল। তবে বাকি সবই ঠিকঠাক রয়েছে।
[আরও পড়ুন: মতুয়াদের নাম সংকীর্তন, প্রসাদ বিলির সময় পুলিশের গাড়ির দৌরাত্ম্য, জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ]
এই মুহূর্তে অনুব্রত মণ্ডলের ওজন ৯১ কেজি। রক্তে শর্করার মাত্রা ১১১ মিলিগ্রাম। রক্তচাপ ১৩০/৮০। পালস রেট ৮৩। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৯ শতাংশ। তবে দিন দিন ওজন কমছে অনুব্রতর। গত আগস্ট মাসে গ্রেপ্তারির সময় তাঁর ওজন ছিল ১১৫ কেজি। নভেম্বর মাসে তাঁর ওজন কমে দাঁড়ায় ১০০ কেজি। আরও ৯ কেজি কমে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির ওজন ৯১ কেজি। অর্থাৎ জেলে আসার পর মোট ২৪ কেজি ওজন কমেছে অনুব্রতর।
এমনিতেই অনুব্রত মণ্ডল বেশ অসুস্থ। মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে তাঁর। রয়েছে ফিসচুলাও। মোট ৩৭ রকমের ওষুধ খান তিনি। সে কারণেই সংশোধনাগারের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে রাখা রয়েছে অক্সিজেনের বন্দোবস্ত। এছাড়া অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য ইসিজি মেশিন, রক্তচাপ মাপার যন্ত্রও। অনুব্রত আসায় স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশকর্মী।
দেখুন ভিডিও: