সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১০ সালের মঙ্গলকোট থানা এলাকার পুরনো মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) কলকাতার বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরার নির্দেশ। বৃহস্পতিবার সশরীরে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা বর্তমানে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন। তাই চিঠি মারফৎ হাজিরার কথা জেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, জেল কর্তৃপক্ষ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটকে ইতিমধ্যে সেকথা জানিয়েছে। তবে অনুব্রত মণ্ডল হাজিরা দেবেন কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
গরু পাচার মামলায় গত ১১ আগস্ট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআইয় হেফাজতে থাকাকালীন কলকাতার নিজাম প্যালেসে ছিলেন তিনি। সেখানেই চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারই এখন ঠিকানা তাঁর। সূত্রের খবর, সংশোধনাগারের হাসপাতাল ওয়ার্ডে রয়েছেন তিনি। ২ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসার সমস্ত বন্দোবস্ত রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমার সম্পত্তিতে বেনিয়ম থাকলে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলুন’, আধিকারিকদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী এবং মেয়ের নামে এখনও পর্যন্ত প্রায় পাহাড় সমান সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে বোলপুরের মোট ১০টি রাইস মিল। ইতিমধ্যে ভোলে ব্যোম, শিব শম্ভু চালকলে তল্লাশিও চালিয়েছেন আধিকারিকরা। ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের কথাও সামনে এসেছে। তবে টাকার উৎস সম্পর্কে জানা যায়নি। অনুব্রতর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। যদিও সে অভিযোগ খণ্ডন করেছেন জেল হেফাজতে থাকা তৃণমূল নেতা। দাবি, ১০০ বার তদন্তে সহযোগিতা করেছেন তিনি। তাঁর টাকার উৎস সম্পর্কে তথ্যের খোঁজে মঙ্গলবার আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করে সিবিআই।
আরও বিপাকে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামিকাল আদালতে পেশ করা হতে হবে তাঁকে। ইতিমধ্যেই একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে খোদ অনুব্রত মণ্ডল আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কলকাতায় গেলে শারীরিক অসুস্থতা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা তাঁর। শেষমেশ কলকাতায় এসে ২০১০ সালের মঙ্গলকোট থানা এলাকার পুরনো মামলায় অনুব্রত হাজিরা দেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।