কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: চাকরি দেওয়ার নামে রাতভর ঘরে আটকে ধর্ষণের অভিযোগ। গ্রেপ্তার মুর্শিদাবাদের নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী সঞ্জিত রায়। নওদা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত তৃণমূল নেতা। সত্যি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাকে ডেকে নিয়ে যান তৃণমূল নেতা নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই মহিলা মুর্শিদাবাদের নওদা থানার আমতলা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ওই তৃণমূল নেতা তাঁকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সমস্ত নথিপত্র নিয়ে মহিলাকে তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে আসতে বলেন। সেই মতো মহিলা শুক্রবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে যান। অভিযোগ, ঘরে ঢোকামাত্রই দরজা বন্ধ করে দেন তৃণমূল নেতা। ওই বন্ধ করে রাতভর তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। শনিবার সকালে ওই মহিলা তাঁর পরিজনদের ফোন করেন। খবর পাওয়ামাত্রই মহিলাদের পরিবারের লোকজন তৃণমূল নেতার বাড়িতে পৌঁছয়। বন্ধ ঘর থেকে মহিলাকে উদ্ধার করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: আর জি কর কাণ্ডে ধৃত মানসিক রোগী? ‘প্যারাফিলিক ডিসঅর্ডারে’র সম্ভাবনা দেখছেন মনোবিদ]
এর পর নওদা থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের লোকজন। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানান তাঁরা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। মহিলার আদৌ শারীরিক নির্যাতন হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা সত্যিই ধর্ষণ করেছে নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।