রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: করোনা মানে আমজনতার কাছে এখনও শুধুই আতঙ্ক। ফলে কিছুক্ষেত্রে আক্রান্তদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অনেকসময় মুখ ফিরিয়ে নেন প্রতিবেশীরাও। কিন্তু সেই করোনাই কাছে আনল তৃণমূল-বিজেপিকে। নিশ্চয়ই ভাবছেন ব্যাপারটা কী?
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল (BJP MLA Suman Kanjilal)। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে কলকাতা (Kolkata) গিয়েছিলেন তিনি। ফিরেছেন মঙ্গলবার। এরপরই জানা যায়, বিধায়কের স্ত্রী ও ১২ বছরের কন্যার শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা (Corona Virus)। আর সেই রিপোর্টের কথা জেনে বৃহস্পতিবার সকালে বিধায়কের বাড়ি হাজির হলেন আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারপার্সন বাবলু কর, ভাইস চেয়ারপার্সন রানা চক্রবর্তী ও পুরপ্রশাসক বোর্ডের সদস্য প্রদ্যুৎ আচার্য। পুরসভার তরফে সঙ্গে নিয়ে যান ডিম, কলা, কমলালেবু, দুই কেজি চাল, এক কৌটো ঘি-সহ অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাবার। দূর থেকেই বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। খোঁজ নেন পরিবারের সদস্যদের।
[আরও পড়ুন: ‘তোকে জ্যান্ত কবর দেব, আসছি’, সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেতাকে খুনের হুমকি ঘিরে চাঞ্চল্য]
এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “রাজনীতি আর মানবিকতা আলাদা জায়গায়। যিনি এসেছিলেন তিনি তৃণমূল নেতা (TMC Leader) একথা ঠিক, কিন্তু আগে উনি এই পাড়ার ছেলে। আমরা ছোট থেকে এক সঙ্গে বড় হয়েছি। তবে পুরসভার তরফে ও যে কাজ করল, তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।” একই সুর আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতার গলায়। তিনি বলেন, “এখানে তৃণমূল-বিজেপি কিছুই না, আগে হচ্ছে মানুষ। আমি পুরপ্রশাসক, আমার দায়িত্ব কোনও নাগরিক অসুবিধায় পড়লে তা সমাধান করা। তাছাড়া আমি এই পাড়ার ছেলে। এখানে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই।”