শংকরকুমার রায়, ইসলামপুর: উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনই রক্ত ঝরল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি। এই দুষ্কৃতী হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল নেতার। পাশাপাশি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও একজন। শনিবার রাতে এই হামলা চলে ইসলামপুরের রামগঞ্জ পঞ্চায়েতের (২) এর শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায়।
রাতে হোটেলে বসে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কয়েকজন তৃণমূল নেতা একসঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে একদল দুষ্কৃতী। এই অতর্কিত হামলায় গুলিবিদ্ধ হন দুই তৃণমূল নেতা। তাঁদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে আহতদের মধ্যে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নিহতের নাম বাপি রায় (৩৬)। তিনি রামগঞ্জ (২) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা তৃণমূল নেত্রী লাপ্পি রায়ের স্বামী। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে মহম্মদ সাজ্জাত। রামগঞ্জ পঞ্চায়েত প্রধান রাজানুর খাতুনের স্বামী তিনি।
[আরও পড়ুন: জনজাতি যুবকের মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা, পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরেও রাজনৈতিক হিংসা]
এই ঘটনায় ইসলামপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সান্দাপ শেরপা বলেন," গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি একজন জখম। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।" স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শ্রীকৃষ্ণপুরের মাদারিপুর এলাকায় গাড়ি থেকে দশজন দুষ্কৃতী নেমে গুপ্তা হোটেলের বসে থাকা বাপি রায়কে খুব কাছ থেকে গলায় বুকে গুলি করে। অন্যজন পালাতে গিয়ে পিঠে গুলি লাগে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন,"আততায়ীদের গ্রেপ্তার করতে ঘটনাস্থলের সিসিক্যামেরায় ফুটেজ চিহ্নিত করতে পুলিশকে বলেছিল। খুঁজে বের করতেই হবে দুষ্কৃতীদের।"