রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: হলদিয়ার দু’টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের বন্দোবস্ত আগেই করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এবার লক্ষ্য দিঘার সমুদ্র ভাঙনের সমস্যা মেটানো। রবিবার সমস্যা নিয়ে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর ফোনে সেচমন্ত্রীকে সেকথা জানান কুণাল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেচমন্ত্রী নিজে এলাকায় আসবেন বলেও আশ্বাস তৃণমূল নেতার।
রবিবার সকালে দিঘা মোহনায় চা চক্রে শামিল হন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরিও। বেশ কিছুক্ষণ মৎস্যজীবী এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের।
সমুদ্র ভাঙন নিয়ে একাধিক অভিযোগ পান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখেন কুণাল।
[আরও পড়ুন: টেট সফল করতে মরিয়া পর্ষদ, পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে সভাপতি গৌতম পাল]
তড়িঘড়ি সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন তৃণমূল নেতা। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেচমন্ত্রী এলাকা পরিদর্শন করবেন বলেই আশ্বাস দেন কুণাল ঘোষ। এছাড়া জমির পাট্টা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথির সভা থেকে জনপ্রতিনিধি আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তার পরদিনই অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎবিহীন দুই গ্রাম বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুরে যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। স্বাধীনতার এত বছর পরে গ্রামে বিদ্যুৎ না পৌঁছনোয় কার্যত অবাক হন তিনি।
কুণালের প্রতিশ্রুতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই গ্রাম দু’টিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজ্য। দিঘা মোহনার সমুদ্র ভাঙনের সমস্যাও খুব তাড়াতাড়ি মিটবে বলেই আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রা। কবে সমস্যা সমাধান হয়, সেটাই এখন দেখার।
দেখুন ভিডিও: