সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে ১৪ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ। ধরা পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ হেফাজতেই অভিযুক্তের মৃত্যু! পুকুর থেকে উদ্ধার দেহ। গোটা ঘটনায় সন্দিহান তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, আরও বড় মাথাদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে না তো?
গত বৃহস্পতিবার অসমের নগাঁও জেলায় ১৪ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সন্ধ্যেয় টিউশন থেকে ফেরার পথে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে ৩ ব্যক্তি। রাতে নাবালিকাকে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। এর পর তাকে ভর্তি করা হয় নগাঁও জেলার ধিং সরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন ধর্ষণ করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে।
[আরও পড়ুন: আলোচনা ছাড়াই RG Kar ইস্যুতে বিবৃতি! এবার বার অ্যাসোসিয়েশনেই প্রবল চাপে কপিল সিব্বল]
তদন্তে নেমে শুক্রবার তাফুজল ইসলাম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বলা হয়, ঘটনার মূল অভিযুক্ত এই তাফুজল। শুক্রবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার ভোর চারটে নাগাদ তাফুজলকে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য অকুস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেসময় পুলিশ হেফাজতেই মৃত্যু হয় তার। পুলিশের বর্ণনা অনুযায়ী, "রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর ভোরবেলায় আমরা ওকে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমাদের এক কনস্টেবলের হাত থেকে হাতকড়া ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ও। সেটা করতে গিয়েই পুকুরে পড়ে যায়। সেখানেই মৃত্যু হয়।" প্রায় দু'ঘণ্টা বাদে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ।
[আরও পড়ুন: ‘ছেলে নিরীহ, ওকে কেউ ফাঁসিয়ে থাকলে তাকেও ধরা হোক’, দাবি সঞ্জয়ের মায়ের]
পুরো ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখছেন, "অসমে গণধর্ষণ। দুষ্কৃতীদের রাজনৈতিক মদতের অভিযোগ। একজন গ্রেপ্তার। তারপর তাকে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে নিয়ে যাওয়ার সময় পুকুরে পড়ে তার মৃত্যু। অভিযোগ, বাকি নাম আর ওপরের মাথাদের পরিচয় গোপন রাখার অপারেশন। সব অভিযোগের তদন্ত, ন্যায়বিচার হবে তো? নাকি পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুতেই শেষ?" বস্তুত যেভাবে অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে, এবং তাঁর দেহ উদ্ধারে যে বিপুল সময় লেগেছে, তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। সেই প্রশ্নই শোনা গেল কুণালের মুখে।