ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডের (Manish Sukla Murder Case) তদন্তে নেমে নাসির খানকে গ্রেপ্তারের পরই ফের জোরালো হতে শুরু করেছে রাজনৈতিক শত্রুতার তত্ত্ব। কারণ, প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর নাসির দাপুটে নেতা হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। জানা গিয়েছে, সে-ই রফা করেছিল ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে। নজর রাখছিল মণীশের উপরও। কিন্তু রাজনৈতিক শত্রুতা নাকি মণীশের উপর ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিল নাসিরের তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মণীশ শুক্লা খুনের তদন্তভার হাতে নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই দুই সন্দেহভাজন খুররম ও গুলাব শেখকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি (CID)। রাডারে ছিল রাজু নামে আরও এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ধৃতদের। এরপরই সিআইডির তরফে জানানো হয়, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণ জোরাল হচ্ছে মণীশ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে। কারণ, কয়েক বছর আগে খুররমের বাবার খুনের ঘটনায় নাম উঠেছিল মণীশ শুক্লার। পাশপাশি মৃতের বাবার দাবি, তাঁর ছেলের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। অল্পসময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় রাজনৈতিক শত্রু বেড়েছিল মণীশের। ফলে খুনের কারণ নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় এসে সুদে-আসলে জবাব দেব’, শমীক ভট্টাচার্যের উপর হামলার নিন্দা করে হুমকি দিলীপের]
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে প্রাক্তণ তৃণমূল কাউন্সিলর নাসির খানকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। জানা যায়, মণীশ খুনের নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে রফা করেছিল ধৃত নাসিরই। ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল সে। আততায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখছিল। ঘটনার আগে এলাকা রেইকিও করে। অপারেশন শেষে তিনজনকে ফোন করে নাসির। প্রাক্তন কাউন্সিলর যোগই প্রশ্ন তুলছে ঘটনার নেপথ্যে কি রাজনীতি? কিন্তু আদতে কী কারণে খুন? তা জানতে আজ দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ওই তৃণমূল নেতাকে। পাশাপাশি শার্প শুট্যাররা যাতে বাংলা বা দেশ ছাড়তে না পারে সেই কারণে সীমান্তবর্তী থানায় পাঠানো হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। বুধবার আততায়ীদের খোঁজে ক্যানিং-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে টিটাগড় থানার পুলিশ ও সিআইডি। প্রসঙ্গত, ধৃত খুররম ও গুলাবকে আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মণীশের ময়নাতদন্ত নিয়ে এনআরএসে ঠিক কী হয়েছিল, কেন সেখানে গিয়েছিলেন বিজেপির নেতারা। তার বিশদ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন। সবমিলিয়ে চাপানউতোর এখনও অব্যাহত।