সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ভর সন্ধেবেলা পুরুলিয়া (Purulia) শহরে শুটআউট। গুলিবিদ্ধ হলেন পুরুলিয়া শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রদীপ বন্দোপাধ্যায়। তিনি সদ্যই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পেশায় বাসমালিক প্রদীপবাবু সন্ধে সাড়ে ৮টা নাগাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। সেসময়ই পুরুলিয়ার চিত্তরঞ্জন হাই স্কুলের সামনে আততায়ীরা খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি (Shot) চালায় বলে অভিযোগ। গুলি লেগেছে প্রদীপবাবুর বাঁ দিকে পেটের কাছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া তাঁর মোবাইলটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আপাতত তিনি দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরুলিয়ার কেতকার বাসিন্দা প্রদীপ বন্দোপাধ্যায় আগে ৯ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর ছিলেন। উনিশের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন। একুশের বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর ফের দলবদল করে তৃণমূলে (TMC) চলে আসেন। এরপরই তাঁর উপর হামলার ঘটনা। তবে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন প্রদীপবাবু। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুরুলিয়া টাউন থানার পুলিশ। এদিনের হামলা নিয়ে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুজয় বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ”পুলিশকে বলেছি, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।”
[আরও পড়ুন: Corona Virus: রাজ্যে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা হাজার ছুঁইছুঁই, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ৩ জেলা]
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে শহর পুরুলিয়ার তৃণমূল সভাপতি বিভাসরঞ্জন দাসের এ ধরনের উপর হামলা চলে। তবে বিভাসবাবুও প্রাণে রক্ষা পান। ঘটনায় কাঠগড়ায় বিজেপি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। আর তার ঠিক পরপরই শনিবার আরেক তৃণমূল নেতার উপর গুলি চালিয়ে হামলার ঘটনা ঘটল। আতঙ্কে শহরবাসী। কে বা কারা এই হামলার ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে, তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।