দীপঙ্কর মণ্ডল: বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বাদানুবাদ অব্যাহত। শুক্রবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়ে বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি শুধুমাত্র রাজ্যের এক্তিয়ারে পড়ে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত পর্যন্ত বিএসএফ-এর (BSF) এক্তিয়ার বৃদ্ধির সমর্থনে আপনি লাগাতার উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন। এর ফলে পুলিশের মনোবল কমে যেতে পারে। এই ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।”
বৃহস্পতিবার বিএসএফ প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দিয়েছিলেন ধনকড়। তাঁর দাবি ছিল, প্রশাসনিক সভায় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পেশ করা বক্তব্য অসাংবিধানিক। কেন্দ্র-রাজ্যের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এদিন সুখেন্দুশেখরের চিঠির উত্তর দেন রাজ্যপাল। দু’টি চিঠিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সম্পর্কে জটিলতা? ফুলশয্যার পরদিনই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার বরের দেহ, চাঞ্চল্য হাওড়ায়]
মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইটারে ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) লেখেন, “মণিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, জম্মু-কাশ্মীরের গোটাটাই বিএসএফ কাজ করতে পারে। সীমান্ত থেকে গুজরাটে ৮০ এবং রাজস্থানে ৫০ কিমি ভিতর পর্যন্ত কাজ করে বিএসএফ। শুধু এ রাজ্য কেন আপত্তি করছে? পুলিশ এবং বিএসএফের সংঘাত কাম্য নয়।” গত অক্টোবরে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পাঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফ-এর এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়। গুজরাটে বিএসএফ-এর ক্ষমতা ৮০ থেকে কমিয়ে করা হয় ৫০ কিমি। রাজস্থানে আগের মতোই সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি ভিতর পর্যন্ত কাজ করতে পারে বিএসএফ।
চলতি বছর কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পর পাঞ্জাব বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এ রাজ্যে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনেও বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির প্রতিবাদে গৃহীত হয়েছে নিন্দা প্রস্তাব।