অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ফের চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতার বিরুদ্ধে। লক্ষাধিক টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি। টাকা ফেরতের দাবিতে শনিবার ডেবরায় ওই তৃণমূল (TMC) নেতাকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করল উন্মত্ত জনতা। প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা তৃণমূল নেতাকে গাছে বেঁধে রাখা হয়। শেষপর্যন্ত পুলিশ কর্মীরা এসে জনতার রোষ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে।
আড়াই বছর আগে ডেবরা থানার মাড়াতলা এলাকার বাসিন্দা অরুণ হাঁসদার থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ পাত্র। একমাসের জন্য রেলের একটি ওয়ার্কশপে প্রশিক্ষণেও পাঠান অরুণকে। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি মেলেনি। এরপর গ্রামে ফিরে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দিলীপকে চাপ দিতে থাকেন অরুণ। একের পর এক তারিখ দিলেও টাকা ফেরত দেননি দিলীপ।
[আরও পড়ুন: ‘RRR ছবি নয়, একটা সার্কাস, দ্য কাশ্মীর ফাইলস খুব স্লো!’ সমালোচনায় রামগোপাল ভার্মা]
ধৈর্য্য হারিয়ে শনিবার সকালে সাড়ে ১১টা নাগাদ বালিচক গ্রামে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতার বাড়িতে হানা দেন অরুণ ও তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য। দিলীপকে তুলে এনে মাড়াতলা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের পিছনের মাঠে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। বেলা ১টা অবধি সেখানেই বেঁধে রাখা হয়েছিল তাঁকে। এরপর খবর পেয়ে ডেবরা থানার পুলিশ এসে দিলীপ পাত্রকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের সামনেই একটি চুক্তি হয়। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দিলীপ। এরপর তাঁকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতা। তবে তাঁর দাবি, চাকরির জন্য তৃণমূল নেতার মাধ্যমে কলকাতার জনৈক রোহিতকে টাকা দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘সবচেয়ে বড় পাপ্পু অমিত শাহ’, অভিষেকের বয়ান টি-শার্টে ছেপে প্রচারে তৃণমূল কর্মীরা!]
তবে এই ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও। তবে একের পর এক রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যেভাবে চাকরির নামে প্রতারণা, মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে।