ধ্রুবজ্য়োতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৈকত মাইতি: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগেই দুর্নীতি মুক্ত দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে আরও একবার তমলুক জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক রদ বদলে সিলমোহর দিল দলের নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে শুভেন্দু জমানার পর পদে বসা একাধিক নেতাদের সরিয়ে নতুন মুখ হিসেবে একেবারে তৃণমূলস্তর থেকে বহু নেতাকে তুলে আনা হল জেলাস্তরে। আবার তমলুকের যুব সভাপতি পদের দায়িত্ব সামলানো অভিষেক দাসকে রাজ্যস্তরে যুব সংগঠনের দায়িত্বে আনা হয়েছে। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তমলুকে দলের সংগঠন ঢেলে সাজাল তৃণমূল।
মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফে সংগঠনে রদবদল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। রাজ্যস্তরে যুব তৃণমূলের সম্পাদক হয়েছেন অভিষেক দাস। তিনি আগে ছিলেন তমলুকের যুব সভাপতি। অভিষেকের পদে এলেন আজগর আলি। হলদিয়ার তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলর আজগর ওরফে পল্টু তমলুকের জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন। এলাকায় শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন পল্টু।
[আরও পড়ুন: ‘যে কোনও অধিনায়কই ওকে দলে নিতে মরিয়া’, ভারতীয় ক্রিকেটারের প্রশংসায় পাক তারকা]
হলদিয়ার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন INTTUC’র সভাপতি পদেও এল বদল। শিবনাথ সরকারকে সরিয়ে জেলার শ্রমিক সংগঠন সভাপতি হলেন চন্দন দাস (মানা)। তিনি তমলুকের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মানা এলাকায় জনপ্রিয় নেতা। সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে সংগঠনের কাজ সামলাতে পারদর্শী। তিনি সরাসরি দলের হলদিয়ার শ্রমিক সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করবে আশাবাদী শীর্ষ নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: ‘যে কোনও অধিনায়কই ওকে দলে নিতে মরিয়া’, ভারতীয় ক্রিকেটারের প্রশংসায় পাক তারকা]
এর পাশাপাশি হলদিয়ার তৃণমূল নতুন শহর সভাপতি (মাদার) হলেন মিলন মণ্ডল। নতুন দুই জেলা সম্পাদকও নিয়োগ করল তৃণমূল। নতুন দুই সম্পাদক দলেন শিবনাথ সরকার ও স্বপন নস্কর।
জেলার রাজনৈতিক মহল বলছে, নয়া পদাধিকারী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে জোর দিয়েছে তৃণমূল। হলদিয়ায় সভা করতে গিয়ে এ কথা আগেই জানিয়ে গিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা ছিল, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তৃণমূল করা চলবে না। রদবদলে সেই বার্তাই আরও স্পষ্ট হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।