সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা নেতারা ধান্দাবাজ এবং সুবিধাভোগী। ঘর ওয়াপসি করা নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক সুর শোনা গেল বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর (Manoranjan Byapari) গলায়। বুধবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, বাংলা এবং বাঙালি যখন বিপন্ন ছিল তখন এরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছিল। আজকে তৃণমূলের সুদিনে তারা দলে ফিরছে। এদের সুবিধাভোগী ছাড়া আর কী বলা যাবে?
মনোরঞ্জন ব্যাপারী বরাবরই ঠোঁটকাঁটা। তাঁর বক্তব্য, “২০২১ সালে বিজেপি (BJP) যখন শক্তিশালী ছিল, তখন বাংলা এবং বাঙালির স্বার্থে লড়াই করতে চেয়েছিলাম। মমতা দিদি আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন। সেসময় আমি লড়াই করেছিলাম। সেসময় অনেকেই বিজেপির দিকে ঝুঁকেছিল। আমার বিধানসভা কেন্দ্র বলাগড়েই বহু হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। আমি ১৫৩ পর্যন্ত গুণেছিলাম। আর গুণতে পারিনি। তখন মনে হয়েছিল, এই যে বেইমান, বিশ্বাসঘাতক, মিরজাফরের দলের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। লড়েছি।” বলাগড়ের বিধায়ক বলছেন, আজ বিজেপি দুর্বল। তাই সেই লড়াই আর নেই।
[আরও পড়ুন: সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা খতিয়ে দেখুক CBI, জনস্বার্থ মামলা হাই কোর্টে]
তাহলে কি তিনি বিধায়ক পদ ছাড়বেন? মনোরঞ্জনের সাফ কথা, “দিদি চাইলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব। একমাত্র দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আদেশ আমার কাছে ভগবানের আদেশের চেয়ে বড়। উনি যা বলবেন তাই করব। তাতে আমার এক বারও দ্বিধা থাকবে না। আমি মানুষের পাশে আছি। বিধায়ক থাকলেও থাকব, না থাকলেও থাকব।” যদিও পরক্ষণেই মনোরঞ্জন জানিয়ে দিয়েছেন, এতকাল তিনি লেখক হিসাবে মানুষের অভাব অভিযোগের কথা লিখেছেন। কিন্তু তাঁদের জন্য কিছু করতে পারেননি। বিধায়ক হয়ে সেই সুযোগটা পাচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: সৎকারে বাধা ধর্ম! বছরভর মর্গেই পড়ে বৃদ্ধার দেহ, অবাক কলকাতা হাই কোর্ট]
দলে ‘ঘরওয়াপসি’ করা নেতাদের নিয়ে মনোরঞ্জনের এই মন্তব্যকে নেহাতই ব্যক্তিগত মতামত বলে জানিয়েছে তৃণমূল (TMC)। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানিয়েছেন, তৃণমূল একটা বিশাল গণতান্ত্রিক দল। এই দলে সবাই নিজেদের মতামত রাখতে পারেন। তবে দলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শীর্ষ নেতৃত্বই নেবেন।