দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আর জি কর কাণ্ডে পথে সবমহল। সকলের একটাই দাবি, বিচার চাই। রাতদখলের ডাক দিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন। এবার দলের সদস্য-কর্মীদের সেই রাত দখলে শামিল না হওয়ার নির্দেশ না দিয়ে বিতর্কে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল তাঁর অডিও। বিধায়কের দাবি, দলের কর্মী-সদস্যরা যাতে চক্রান্তের শিকার না হন সেই কারণেই এই নির্দেশ।
ব্যাপারটা ঠিক কী? সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও। বিরোধীরা দাবি করে, কন্ঠস্বরটি নাকি ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাসের। সেখানে শোনা যায়, এক ব্যক্তি বলছেন, "অঞ্চল সভাপতি, প্রধান-সহ দলের সমস্ত স্তরের নেতা-কর্মীদের অনুরোধ, আবারও সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি চক্রান্ত করে রাত দখলের ডাক দিয়েছে। আগামী ৪ তারিখ ফের রাত দখল করা হবে। মনে রাখবেন, এটা একটা অন্যরকম রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমাদের যত পঞ্চায়েতের সদস্য, প্রধান, কর্মীরা রয়েছেন সবাইকে বলছি, প্রত্যেকে নিজের অঞ্চলের কর্মী-সমর্থকদের নির্দেশ দিন, যেন কেউ রাতদখলে শামিল না হয়।" এর পরই হুমকির সুরে বলেন, "যদি কেউ বের হয় ও আমাদের নজরে পড়ে তাহলে ব্যবস্থা নেব।" এই অডিও ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন: ফরাসি বিপ্লব ও বাস্তিল দুর্গের পতন স্মরণ! সোশাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সুখেন্দুশেখরের]
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পরেশরাম দাস জানিয়েছেন, অডিও ক্লিপটি তাঁরই। বিধায়কের কথায়, "নিরীহ বোনকে সামনে রেখে রাজনীতি করছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রথম পথে নেমেছে দোষীদের শাস্তির দাবিতে। তার পরও সিপিএম-বিজেপি নিজেদের মতো করে ফায়দা লুঠতে চাইছে। কিন্তু অন্যদলকে ধামাচাপা দিতে দেব না। ওদের চক্রান্তকে সফল হতে দেব না বলে নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের কর্মীরা যাতে কোনও মিথ্যে চক্রে পা না দেন সেই কারণেই এই নির্দেশ।" বিধায়কের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধীরা।