সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যই মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর ঠিক একইদিনে দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এবার কী তবে সে পথেই হাঁটছেন হাওড়ার শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ীও। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে তাঁর গলায় শোনা গেল একইরকম ক্ষোভের সুর। আর তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা।
টিম পিকের জন্য কার্যত তিনি অপমানিত হয়েছেন বলেই দাবি বর্ষীয়ান রাজনীতিক তথা বিধায়ক জটু লাহিড়ীর (Jatu Lahiri)। তিনি বলেন, “হঠাৎ শুনলাম দলকে পরিচালনার জন্য ভোট বিশেষজ্ঞ আসছেন। পিকে না কে! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) যা ক্ষমতা আছে, বাইরের কাউকে দরকার নেই। মানুষ বিশ্বাস করেছে, এ আমাদের অধিকার রক্ষা করবে। আমার নিজের ধারণা, পিকে আসার পর থেকে দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমি নিজেই অপমানিত বোধ করেছি। একটা অল্পবয়সি ছেলে এসে বলছে, আপনাকে এই মিছিলটা করতে হবে। তাঁর সঙ্গে আসলেন এক ভদ্রমহিলাও। তিনি নাকি জেলার কী! সে এসে বলল, অমুক করতে হবে, মিছিল করতে হবে, রাত জাগতে হবে। প্রথম প্রথম করেছি। টিকিয়াপাড়ায় একটা বাড়িতে ছিলাম। আস্তে আস্তে মনে হচ্ছে, এটা ঠিক নয়।” যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের।
[আরও পড়ুন: বিয়েবাড়িতে প্রচণ্ড শব্দে ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নাচ, বাধা দিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, রণক্ষেত্র শ্রীরামপুর]
স্বাভাবিকভাবেই বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল। দলত্যাগের আগে মিহির গোস্বামীও ঠিক একইরকমভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রোহের সুর চড়িয়েছিলেন। তাহলে কী মিহির গোস্বামীর (Mihir Goswami) দেখানো পথই অনুসরণ করতে পারেন জটু লাহিড়ী, রাজনৈতিক মহলে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে সেই প্রশ্ন।