সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সোমবার বিজেপির মেগা মিছিলে কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) অনুপস্থিতিতে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। তা স্তিমিত হতে না হতেই মঙ্গলবার দুপুরে শোভনের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করলেন ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার। বৈঠকে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য আবু তাহেরও। এ নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হল।
তৃণমূলে থাকাকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে জেলার অনেক নেতার সম্পর্কই বেশ ভাল। এমনকী শোভন চট্টোপাধ্যায় দলবদল করলেও অনেকের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি হয়নি বলে জানা যায়। তাঁরা অনেকেই মাঝেমধ্যে শোভনবাবুর সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা, পরামর্শ করে থাকেন। তেমনই একজন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) দীপক হালদার।
[আরও পড়ুন: ‘রোজই দিদির দলের উইকেট পড়ছে’, লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ প্রসঙ্গে কটাক্ষ দিলীপের]
মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার যান শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। সেখানে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য আবু তাহেরও। বেশ কিছুটা সময় ধরে তিনজনের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। আর তাতেই রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে একাধিক জল্পনা। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে কি তবে পদ্মশিবিরে পা বাড়াতে চাইছেন তৃণমূল বিধায়ক? এই প্রশ্নের পাশাপাশি আরও এক সংশয় ঘনিয়ে উঠছে। এই মুহূর্তে বিজেপি এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক যে খুব মসৃণ, তেমনটা বলা যাচ্ছে না। কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পরও সোমবার তাঁকে নিয়ে মেগা শো’র আয়োজনে তিনি নিজেই গরহাজির ছিলেন। যা নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। এসব থেকেই তাঁর এবং বিজেপির সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হচ্ছে। তবে কি দীপক হালদাররা ফের তাঁকে ঘাসফুল শিবিরে টানার চেষ্টা করছেন? সেই লক্ষ্যেই মঙ্গলবারের সাক্ষাৎপর্ব?
[আরও পড়ুন: হিন্দু ভোট ভাগাভাগির চেষ্টা! বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে শতাধিক আসনে প্রার্থী দেবে শিব সেনা]
যদিও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক দীপক হালদার জানিয়েছেন, “কলকাতায় ব্যক্তিগত কাজে ওঁর বাড়ির কাছেই গিয়েছিলাম। অনেকদিন দেখাসাক্ষাৎ হয়নি। তাই দেখা করে এলাম। নিতান্তই ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ ছিল। রাজনীতির বিষয়ে তেমন কিছু আলোচনাও হয়নি। ব্যক্তিগত আলোচনার মাঝে শোভনদাকে জানিয়েছি, এখন আপাতত এসব নিয়ে কিছু ভাবছি না।” দীপক হালদার যাই বলুন না কেন, এই সাক্ষাৎকার কিন্তু একাধিক সম্ভাবনা উসকে দিয়ে গেল, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।