স্টাফ রিপোর্টার: গুরুতর অসুস্থ মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে (Sadhan Pande)। শুক্রবার রাতে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় বাইপাসের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল কাশি রয়েছে সাধনবাবুর। ফুসফুসে রয়েছে গভীর সংক্রমণ। বিধায়কের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যে খবর পাওয়া গিয়েছিল সেই অনুযায়ী ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে মানিকতলার বিধায়ককে (TMC MLA)। পরে রাতের দিতে জানা যায়, ভেন্টিলেশনে রাখার পর বিধায়কের শারীরিক অবস্থা কিছুটা হলেও স্থিতিশীল।
জানা গিয়েছে, সাধন পাণ্ডের চিকিৎসার জন্য চার সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সেখানে ফুসফুসরোগ বিশেষজ্ঞ ছাড়াও রয়েছেন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই বিধায়কের সিওপিডি (COPD) রয়েছে। তাঁর ফুসফুস সম্পূর্ণ কাজ করে না। রয়েছে কিডনির সমস্যা। আপাতত তাঁর রক্তের একাধিক পরীক্ষা হচ্ছে। ইসিজি করা হবে বলেও শোনা গিয়েছে। সাধনবাবুর বুকের সিটি স্ক্যান করানোরও পরিকল্পনা রয়েছে চিকিৎসকদের।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের স্কুলের সিলেবাসে বাদ রবীন্দ্রনাথ, জুড়ল রামদেব! তীব্র নিন্দায় ব্রাত্য বসু]
সমস্ত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহেও অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী। ২১ এপ্রিল তিনি করোনার টিকা (Corona Vaccine) নিয়েছিলেন। ২২ এপ্রিল সকাল থেকেই শ্বাসকষ্ট বাড়ে প্রবীণ নেতার। সেসময় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন তিনি। সেসময় বাড়িতেই তাঁকে বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছিল। তিন মাস কাটতে না কাটতেই ফের শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকেরা। নিয়ম অনুযায়ী, মন্ত্রীর কোভিড (COVID-19) পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগে একবার স্ত্রী করোনা (Corona Virus) পজিটিভ হওয়ায় নিজেই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। সেই সঙ্গে নিয়মমাফিক কলকাতা পুরসভার (KMC) স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে কোভিড পরীক্ষা করিয়েছিলেন। সেসময় তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।