সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিল ঘিরে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। এমন পরিস্থিতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিধায়ক পদ খারিজের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক তাপস রায়। জানালেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিতেন তিনি। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনও করাতেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিষেধ করেন। ক্ষমা করে দিতে বলেন। তাই সেই প্রক্রিয়া আর এগোয়নি।
নিজের বিধানসভা এলাকা বরানগরের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তাপস রায়। সেখানে দাঁড়িয়ে বলেন, “শুভেন্দু বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিতাম। ঠিকমতো প্রিভিলেজ আনলে ওঁর বিধায়কপদ খারিজ য়ে যেত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আমাকে নিষেধ করেন। বলেন, ক্ষমা করে দিতে।” উল্লেখ্য়, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ইতিপূর্বে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার সাসপেনশনও রোধ হয়েছিল। সেইসময়ও শুভেন্দুর হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের খোঁচা, “তৃণমূল আসলে শুভেন্দু ভূত দেখছে। ওঁরা কথায় কথায় বুঝিয়ে দিচ্ছে শুভেন্দু কতটা প্রাসঙ্গিক। ওঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে তৃণমূলই।”
[আরও পড়ুন: ২৬ মার্চ-১ এপ্রিলের Horoscope: কেমন কাটবে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ? জেনে নিন রাশিফল]
শুধু বিরোধী দলনেতা নয়, নিজের দলের একাংশেরও সমালোচনা করেছেন তাপস রায়। অন্য দল থেকে তৃণমূলে আসা নিয়েও নিজের আপত্তির কথা ঢেকে রাখেননি তিনি। বলেন, “অন্যদল থেকে বদমাইশগুলো আমাদের দলে ঢুকেছে। তাঁরা সবসময় সরকারি দলের সঙ্গে থাকতে চায়। এই দলে এসে নিজেদের কাজ করছে তারা। আমাদের কাজ করছে কি? করছে না।” দলের প্রবীণ নেতার আক্ষেপ, “আমরা বেনোজল ঢোকা আটকাতে পারিনি। আটকাতে পারলে আজকের অবস্থা হত না।” প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার দলের একাংশের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে তাপস রায়কে।