কৃষ্ণকুমার দাস: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (WB Panchayat Election 2023) ঘোষণা হওয়ার পর রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। অভিযোগ, তিনি বিজেপি নেতাদের কথা শুনছেন, অপর পক্ষের বক্তব্য শোনার প্রয়োজনই বোধ করছেন না। এদিকে রাজ্যপালও মনে করছেন, রাজ্যবাসীর সুরক্ষার ভার তাঁর উপর। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বে যে অশান্তি হয়েছে, তাতে তিনি উদ্বিগ্ন। আর তাই সেসব এলাকায় তিনি যাচ্ছেন। শুক্রবারের পর শনিবারও রাজ্যপাল ছুটে গেলেন ক্যানিংয়ে। আর তাঁকে কটাক্ষ করে এদিন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ”বোস পদবি হলেই নেতাজি সুভাষ হওয়া যায় না। এটা মনে রাখতে হবে তাঁকে।”
শুক্রবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose) গিয়েছিলেন ক্যানিং। মনোনয়নের শেষ দিন এই জায়গাই ছিল সবচেয়ে উত্তপ্ত। বোমাবাজি, গুলি, প্রাণহানি। সেই সন্ত্রস্তর ভাঙড়েই পরদিন পৌঁছে যান রাজ্যপাল। আর শনিবার তিনি গেলেন ক্যানিংয়ে (Canning)। এদিন সকালেই তাঁর কাছে নির্বাচনী সন্ত্রাস নিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর তারপর নিজের চেন্নাই সফর বাতিল করে তিনি ক্যানিং যান।
[আরও পড়ুন: ৫ বছর ধরে কলকাতা হাই কোর্টের বিভিন্ন এজলাস ঘুরে অবশেষে চাকরি পেলেন ১৫ শিক্ষক]
চেন্নাই সফর বাতিল করে রাজ্যপালের ক্যানিং যাওয়াকে অবশ্য তৃণমূল কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজ্যপালকে ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলে কটাক্ষ করেন। বাম, কংগ্রেস, বিজেপির অভিযোগে রাজ্যপাল ‘ধুনো দিচ্ছেন’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্যপাল কি রাজনৈতিক এজেন্ট? ট্রেন দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, উনি তাঁদের দেখতে যাননি কেন? তৃণমূলের কেউ মারা গেলে তো উনি যান না।”