সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) ধর্ষণ মামলায় ১১ জন দোষীদের সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদনে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির ফলে বিলকিস বানো ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে নেত্রীর করা জনস্বার্থ মামলায়। মঙ্গলবার একই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছেন তিন নারী অধিকার রক্ষা কর্মী সুভাষিণী আলি, রেবতী লউল ও রূপরেখা ভার্মা।।
তৃণমূল নেত্রীর করা মামলায় একদিকে যেমন বিলকিস ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা করা হয়েছে, একইসঙ্গে অভিযোগ করা হয়েছে, দোষী ব্যক্তিদের সাজা মকুবের যোগ্যতা আছে কিনা, তা বিবেচনা না করেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে, ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের এভাবে ছেড়ে দেওয়া সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক। উল্লেখ্য, রাজ্যে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির বিরোধিতায় পথে নামতে চলেছে তৃণমূল। আগামী ২৫ ও ২৬ আগস্ট বিড়লা তারামণ্ডল থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করবে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস।
[আরও পড়ুব: হত্যা করলে জেলে যাবে, যেতে হবে না স্কুলে! এই ভেবেই বন্ধুকে খুন করল দশম শ্রেণির ছাত্র]
এদিকে প্রধান বিচারপতি এনভি রমণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিব্বল ও অ্যাডভোকেট অপর্ণা ভাট বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। প্রধান বিচারপতিকে কপিল জানান, এমন দোষীদের মুক্ত করা হয়েছে, যারা ১৪ জনকে হত্যা করেছে এবং একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। সূত্রের খবর, নারী অধিকার কমিশনের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
মঙ্গলবার এই বিষয়ে কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, “আমরা ধর্ষকদের সাজা মকুবের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করেছি। সুপ্রিম কোর্টের সামগ্রিক নির্দেশকে নয়।” উল্লেখ্য, এর আগে সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন করেন ৬ হাজার জন সমাজকর্মী, ইতিহাসবিদ। যদিও এখনও পর্যন্ত কাজের কাজ হয়নি।
[আরও পড়ুব: আগামী মাসেই বদল মোদি মন্ত্রিসভায়! রদবদলে চমকের সম্ভাবনা প্রবল]
প্রসঙ্গত, গুজরাট (Gujarat) সরকার বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) ১১ ধর্ষককে মুক্তি দেওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ বিলকিসের স্বামী ইয়াকুব রসুল। এরমধ্যেই গতকাল প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, বিলকিস বানোর ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তরা ঘন ঘন প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিল। ছাড়া পেয়ে তারা সাক্ষীদের ভয় দেখাত বলেও অভিযোগ। এই অবস্থায় তাদের সাজা মকুবের বিষয়টি নিয়ে সর্বস্তরে আপত্তি উঠছে।