অর্ণব দাস, বারাকপুর: তৃণমূলকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন গ্রামের মহিলারা। কিন্তু শহুরে মহিলাদের ভোট মেলেনি। বরানগরের এক সভায় এমনই দাবি করলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর এহেন দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রাজ্যের সমস্ত মহিলাকে মাসিক ৫০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনজাতির মহিলারা পেতেন ১ হাজার টাকা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ম্যাজিক দেখিয়েছিল 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'! লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য বাজেটে মহিলাদের মাসিক ভাতা বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়। জনজাতিদের জন্য করা হয় ১২০০ টাকা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এতেই লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করে তৃণমূল। মহিলা ভোটের বিপুল অংশ ভোটবাক্সে পিছনে ফেলেছিল বিরোধীদের। এ দিন সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দমদমের সাংসদ বলেন, "লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পিছনে ছিল মহিলাদের অবদান। মহিলারাই আসল রক্ষাকর্ত্রী।"
[আরও পড়ুন: পাঁচ ঘণ্টা জেরার পর ইডি দপ্তর থেকে বেরলেন ঋতুপর্ণা]
এর পরই সৌগত রায়ের সংযোজন,"বসতি থেকে শুরু করে গ্রামের যে সমস্ত মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন। তারা আমাদের ঢেলে ভোট দিয়েছেন। শহরে যে সমস্ত মহিলারা বড় আবাসনে থাকেন তারা আমাদের ভোট দেয়নি।" তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। দমদমের সাংসদ আরও জানান, তিনি আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না।
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তৃণমূলত্যাগী তাপস রায়কে কটাক্ষ করেন সৌগত। বলেন, "বরানগরে তাপস ছিল ধমক দেওয়ার এমএলএ। যে কোনও মিটিংয়ে নেতাকর্মীদের তাপস ধমক দিত। রাজনীতিতে ভুল করলে কী হয় তাঁর দৃষ্টান্ত তাপস।"