সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে ‘সৌজন্য’ সাক্ষাতের আগেই ফের বিস্ফোরক সুনীল মণ্ডল। বুধবার বিকেলে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করতে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। তার আগেই তৃণমূল এবং ওই দলেরই ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সুনীল।
তিনি বলেন, “দল এই বিপদের মুহূর্তে একজোট হচ্ছে না। খোকন দাস, জিতেন্দ্র তিওয়ারি বোমা ফাটিয়েছেন। এরা সবাই এক নম্বর সৈনিক। দলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে বাধ্য হয়ে সবাই বোমা ফাটাচ্ছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন,”দলের মধ্যে যারা তোলাবাজ, যারা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে তারাই দলে ভাল পদ পাচ্ছে। এটা নিয়েই তৃণমূলের যাঁরা প্রকৃত কর্মী তাঁদের ক্ষোভ বাড়ছে।”
প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে সুনীল মণ্ডল (Sunil Mandal) তীব্রভাবে কটাক্ষ করে বলেন,”ও বাংলার রাজনীতি নিয়ে কি বোঝে? সাংগঠনিক শক্তি যদি কোনও দলে মজবুত না হয় তাহলে সে দল বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। যে পয়সা নিয়ে রাজনীতি করে সে কি বোঝে। ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে কখনও যুদ্ধ জয় করা যায় না। ওই স্তাবকেরা কথা বলবে, আদেশ দেবে সেটা মেনে নেব না। ওর থেকে আমাদের লেখাপড়া ও রাজনৈতিক শিক্ষা বেশি। এইভাবে দল চলতে পারে না।” প্রয়োজনে দল ছাড়ারও হুমকি দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘১০ বছর দলের খেয়ে ভোটের সময় অন্যদের সঙ্গে বোঝাপড়া করলে মানব না’, তোপ মুখ্যমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের (Durgapur) ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিধাননগরের বিভিন্ন জায়গায় সুনীল মণ্ডল ও শুভেন্দু অধিকারীর ব্যানার দেখা যায়। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘সুনীলদা আমরা শুভেন্দুদার সঙ্গে তোমাকেও চাই।’ আর এই ব্যানার নিয়ে পালটা দলেরই তুমুল সমালোচনা করেছিলেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। সেই সময় সাংসদ বলেন, “পোস্টার লিখতে কাকে বারণ করব? এগুলো মানুষের ক্ষোভের প্রকাশ। যে যাকে ভালবাসে তার নামেই পোস্টার পড়ছে। দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। দলের এটা দেখা উচিত। নেতাদেরই মাথাব্যথা বেশি হওয়া উচিত। সবাইকে নিয়ে লড়তে হবে।” সেই মন্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও সুনীল মণ্ডলের ‘বেসুরো’ কথাবার্তা তৃণমূলে অস্বস্তি বাড়ল বেশ খানিকটা।