সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লাসের মধ্যেই মুসলিম সহপাঠীকে পেটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষিকা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এই ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে নিগৃহীত ছাত্রও। প্রথম শ্রেণির এই পড়ুয়া জানিয়েছে, টানা এক ঘণ্টা ধরে তার উপর লাগাতার অত্যাচার চালানো হয়েছে। ন্যক্কারজনক এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien), কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), শান্তনু সেন, শশী পাঁজার মতো একাধিক তৃণমূল (TMC) নেতা।
শনিবার প্রকাশ্যে আসে উত্তরপ্রদেশের বেসরকারি স্কুলের এই ভিডিও। সহপাঠীদের হাতে নিগৃহীত শিশুটি জানিয়েছে, “নামতা পড়ে স্কুলে যাইনি। তাই ভুল হয়েছিল। তখনই সহপাঠীরা আমাকে মারধর শুরু করে। শিক্ষকের নির্দেশেই আমাকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয়।” এই ঘটনা ভিডিও করেছেন আক্রান্ত পড়ুয়ার এক ভাই। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। তারপরেই একযোগে এই ঘটনার নিন্দা করেন কংগ্রেস, তৃণমূলের নেতারা।
[আরও পড়ুন: মানবিক মোদি, বক্তৃতা থামিয়ে অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন প্রধানমন্ত্রী]
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন বলেন, “ঘটনার অনেক পরে এফআইআর দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, কিন্তু খুবই দুর্বল ধারা আনা হয়েছে অভিযোগে। দেশের নানা প্রান্তে হিংসার কারখানা খুলেছে বিজেপি। সেখানকার ম্যানেজার হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।” সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্টপোষক বিজেপি, ঘৃণার রাজনীতির রঙে রাঙিয়ে তুলছে শিশুদের রঙিন মনের আঙিনা। ধর্মের নামে রাজনীতি করতে করতে, তারা এখন শিশুদের শিক্ষাঙ্গনেও এর যথেচ্ছ ব্যবহার করে চলেছে। উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার উপস্থিতিতে সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে একটি ছাত্র শারীরিকভাবে নিপীড়িত হল অন্যান্য ছাত্রদের থেকে। এটাই কি নতুন ভারত?”
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিবৃতিও দিয়েছে তৃণমূল। দলের তরফে বলা হয়, “মুজাফফরনগরের খুব্বাপুরের নেহা পাবলিক স্কুল থেকে একটি দুঃখজনক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে একজন শিক্ষক নির্বিচারে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে, সহপাঠীকে নিশানা করার জন্য নিরীহ ছাত্রদের উৎসাহিত করছেন। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতল গভীরে যে গোঁড়ামি ও ঘৃণা প্রবেশ করেছে, কুসংস্কারের এই বীভৎস প্রদর্শন তার উপরই আলোকপাত করে। বিজেপির বিভেদমূলক রাজনীতির বিষাক্ত স্পর্শ ভারতকে ছারখার করে দিচ্ছে। ”