অর্ণব দাস, বারাসত: রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুর রহমান। কিন্তু তাঁকে সভাপতি পদে বহাল রেখেই ব্লকে নতুন কনভেনারের দায়িত্ব দেওয়া হল মফিদুল হক সাহাজিকে। তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বেও রয়েছেন। বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কাকলি ঘোষ দস্তিদার এ বিষয়ে সাহাজিকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
দেগঙ্গার (Deganga) নতুন কনভেনার নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কোনও নেতৃত্ব মুখ না খুললেও ব্লকে দলের অন্দরে এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে সোশাল মিডিয়ায় (Social media) পোস্টে পোস্টে ছয়লাপ। মফিদুল হক সাহাজির অনুগামীরা তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন ফেসবুক ওয়ালে। তাঁদের অনেকেই আবার মনে করছেন, আনিসুরকে সভাপতি পদ থেকে সরানোর এটাই প্রথম পদক্ষেপ। আবার বিরুদ্ধ গোষ্ঠী নিজেদের সোশাল মিডিয়ায় কনভেনার পদকে 'মূল্যহীন' বলে আখ্যা দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: RG Kar কাণ্ড: নির্যাতিতার চার সহকর্মী-সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন মঞ্জুর শিয়ালদহ আদালতের]
আনিসুরের অনুগামীদের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024)দেগঙ্গা থেকে তৃণমূলের বিপুল লিডের কাণ্ডারি ছিলেন আনিসুর রহমান। দল এটা ভালোভাবেই জানে। তাই তাঁদের নেতা ফিরে আসলে দল তাঁকেই আবার দায়িত্ব দেবে বলে আশাবাদী তাঁর। মোটের উপর সব মিলিয়ে দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের (TMC) অন্দরেই এনিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ নবনিযুক্ত কনভেনার মফিদুল হক সাহাজি। তিনি জানিয়েছেন, যারা নিজেদের বুথেই ভোটে হেরে যায়, তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। আসলে জনবিচ্ছিন্ন হয়েই এসব করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘দেশজুড়ে বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা’, দ্রুত বিচার ও শাস্তির দাবিতে মোদিকে চিঠি মমতার]
তবে তৃণমূলে জেলবন্দিদের পদে বহাল রাখা নতুন নয়। এর আগে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও (Anubrata Mondal) সরানো হয়নি। বছর দুই আগে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। তার পরও তাঁকে পদে বহাল রেখে তৃণমূল নেতৃত্ব বীরভূমে সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখার জন্য কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন দলের সুপ্রিমো।