সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: শেয়ার বাজার (Stock Market Manipulation) দুর্নীতি নিয়ে এবার সেবির দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী মঙ্গলবার সেবির ডিরেক্টর জি রামমোহন রাওয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সেবির দপ্তরে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনা এবং শরদ পওয়ারের এনসিপিকেও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কংগ্রেসকে নিজেদের এই 'আন্দোলনে' শামিল হওয়ার আমন্ত্রণও জানায়নি এরাজ্যের শাসক দল।
তৃণমূল সূত্রের খবর, তাঁদের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার সেবির দপ্তরে যেতে চায়। ওই প্রতিনিধি দলে থাকবেন দলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়. রাজ্যসভার উপদলনেত্রী সাগরিকা ঘোষ, দলের রাজ্যসভার আরেক সাংসদ সাকেত গোখলে এবং লোকসভার সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। যদিও মঙ্গলবার সেবির ডিরেক্টর জি রাম মোহন রাও (G Ram Mohon Rao) তাঁদের সময় দিতে রাজি হননি। সেক্ষেত্রে বিকল্প কোনও শীর্ষ আধিকারিককেই নিজেদের দাবি জানিয়ে আসতে চান তৃণমূল সাংসদরা। ওই প্রতিনিধি দলে থাকতে পারেন এনসিপি শরদ পওয়ার এবং শিব সেনা উদ্ধব ঠাকরের প্রতিনিধিরা। যদিও আদৌ এই সাক্ষাৎ হবে কিনা, সেটা নির্ভর করছে সেবি কর্তাদের সদিচ্ছার উপরই।
[আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্কের পর বাংলায় তিলক-তরজা! স্কুলের সামনে বিক্ষোভ ‘সনাতনী’দের]
এক্সিট পোলের পর শেয়ার বাজারে বিস্ফোরণ! রাতারাতি ফুলে-ফেঁপে উঠল বাজার। উলটো দিকে ভোটের ফলপ্রকাশের দিন সেই বাজারেই সুখা। মাঝখান থেকে উধাও বিনিয়োগকারীদের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা। এই নিয়ে কংগ্রেস (Congress) প্রথম অভিযোগটি করেছিল। রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, "এটা ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শেয়ার বাজার দুর্নীতি।" রাহুলের সেই অভিযোগ পরে ইন্ডিয়া জোটের এজেন্ডা হয়ে দাঁড়ায়। আপাতত কংগ্রেসের তোলা সেই ইস্যু 'হাইজ্যাক' করে নিয়েছে তৃণমূল। দিল্লিতে তৎপরতা বাড়াচ্ছে এরাজ্যের শাসকদল। সেই সঙ্গে বাড়ছে আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টাও। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পুরোটাই হচ্ছে কংগ্রেসকে আড়ালে রেখে।
[আরও পড়ুন: সুখবর! কেটেছে জট, পুলিশের অনুমতি পেয়েই নিকো পার্ক পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ শুরু]
তৃণমূলের অভিযোগ, এক্সিট পোলের মাধ্যমে শেয়ার বাজার প্রভাবিত করার যে চেষ্টা হয়েছে, তার অকাট প্রমাণ তাঁদের হাতে রয়েছে। উদাহরণ হিসাবে তৃণমূল বলছে, বিখ্যাত সংস্থা অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার সমীক্ষায় বাংলার এক্সিট পোলে (Exit Poll) ভ্রান্তির পরিমাণ প্রায় ১৫০ শতাংশ। যা কোনও স্বীকৃতি সংস্থার দ্বারাই করা সম্ভব নয়। তাছাড়া এই এক্সিট পোল সংস্থাগুলি বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার হয়েও সমীক্ষা করে, সেটা সরাসরি স্বার্থের সংঘাত। এই ইস্যুগুলিই সেবির সামনে তুলে ধরতে চায় তৃণমূল।