ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রামলীলা ময়দানে ধরনার অনুমতি মেলেনি। এবার বিকল্প তিনটি জায়গা চেয়ে দিল্লি পুলিশকে (Delhi Polie) চিঠি দিল তৃণমূল। রাজ্যের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখার প্রতিবাদে দিল্লির যন্তরমন্তর, কৃষি ভবনের বাইরে এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বাড়ির সামনে ধরনার অনুমতি চেয়েছে এরাজ্যের শাসকদল।
বাংলাকে লাগাতার বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে দিল্লির মোদি সরকার। এই অভিযোগ তুলে ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে বাংলার ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে বঞ্চনা করেছে। এই অভিযোগে তৃণমূল নিজেদের উদ্যোগে বঞ্চিত শ্রমিকদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে গান্ধী জয়ন্তীতে রামলীলা ময়দানে ধরনা কর্মসূচি করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। যার নেতৃত্বে থাকার কথা খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)।
[আরও পড়ুন: আসিয়ান-ইন্ডিয়া সামিটে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী, উঠল ‘মোদি-মোদি’ স্লোগান]
সেই কর্মসূচির জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রামলীলা ময়দান ভাড়া চেয়েছিল তৃণমূল। বাংলা থেকে যাওয়া মনরেগা প্রকল্পের শ্রমিকদের ওই ময়দানেই রাখার পরিকল্পনা ছিল তাদের। ২৩ আগস্ট অনুমতি চেয়ে দিল্লি পুলিশকে (Delhi Police) চিঠি দেয় ঘাসফুল শিবির। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তৃণমূলকে সেই অনুমতি দেয়নি। এবার বিকল্প এই ৩ জায়গায় ধরনার অনুমতি চেয়ে ফের চিঠি দিল তৃণমূল। আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর ধরনার অনুমতি চেয়েছে এরাজ্যের শাসকদল।
[আরও পড়ুন: দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ‘ভারত’ করা সম্ভব? কী বলছে রাষ্ট্রসংঘ?]
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বলছেন,”কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ করিয়েও টাকা আটকে দিয়েছে। সেটার প্রতিবাদ করারও উপায় নেই। সেটারও অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। আমরা এর প্রতিবাদ করব।”