সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের বাংলা যোগ ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের আমলে বাংলা জেহাদিদের স্বর্গ হয়ে উঠেছে। পালটা দিয়েছে তৃণমূলও। দুই মূলচক্রীকে 'অধিকারী গড়' হিসেবে পরিচিত কাঁথি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা দেখতে হবে। সেখানে কারা দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেয় সেটাও দেখতে হবে। নাম না করে অধিকারী পরিবারকে নিশানা করেছেন তিনিষ পালটা দিয়েছেন তমলুকের বিদায়ী সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও।
রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের মাস্টার মাইন্ড আবদুল মাথিন ত্বহা ও তাঁর সঙ্গী মুসাভির হুসেন শাহজেব ছদ্মবেশে তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রথমে তারা কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত এবং পরে নিউ দিঘার একটি বেসরকারি হোটেলে আত্মগোপন করেছিল। যদিও হোটেলের তরফে সে কথা স্বীকার করা হয়নি। এই গ্রেপ্তারির পরই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের দুই সন্দেহভাজনকে কলকাতা থেকে আটক করেছে এনআইএ। তারা হয়তো কর্ণাটকে শিবমোগাই আইসিস সেলের অংশও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলা জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গে পরিণত হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।"
[আরও পড়ুন: নোটায় ভোট দিন, প্রয়োজনে তৃণমূলকে জেতান! আর্জি ক্ষুব্ধ ‘আদি বিজেপি’ কর্মী সংগঠনের]
এদিকে বিজেপিকে পালটা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "কোথা থেকে ধরেছে? কাঁথি। সবাই জানে সেখানে কোন্ পরিবার দুষ্কৃতীদের আনে, আশ্রয় দেয়। এসবে তাদের ভূমিকার তদন্ত হোক।" একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের হয়েও ব্যাট ধরেন কুণাল। তাঁর কথায়, "NIA-কেও মানতে হল রাজ্য পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার কথা। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে জড়িত বলে যে গ্রেপ্তার তারা করেছে, তাতে তাদের প্রেস রিলিজেও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতার উল্লেখ। বাংলার পুলিশ দেশবিরোধী অশুভ শক্তিকে দমন করতে অবিচল এবং অন্য এজেন্সিকে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত, আবার প্রমাণিত।"
[আরও পড়ুন: ভোটের বাংলায় ফের খুনোখুনি! বাইকের আওয়াজ ঘিরে সমস্যা, যুবককে কুপিয়ে ‘খুন’]
উল্লেখ্য, কাঁথি বা দিঘা এলাকা শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের 'গড়' হিসেবে পরিচিত। নাম না করে সেই পরিবারকেই কুণাল নিশানা করলেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। এ প্রসঙ্গে তমলুকের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, "এনআইএ-কে পুলিশ সহযোগিতা করেছে তার জন্য ধন্যবাদ অবশ্যই প্রাপ্য। ভূপতিনগরেও এনআইএ -কে পুলিশ সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছে। যিনি এসব বলছেন, তাঁর মানসিক অবস্থা আমার জানা নেই। তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দুষ্কৃতীদের কারা আশ্রয় দেয় তা আগেই প্রমাণিত হয়েছে। তৃণমূলের মার্কেটিং ম্যানেজারের কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।"