ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দেশজুড়ে নাকি নিষ্ক্রিয় হচ্ছে ৩২ কোটি আধার কার্ড! এর মধ্যে রাজ্য়েরই প্রায় ২ লক্ষ ১৩ হাজার কার্ড রয়েছে বলে দাবি। এই ইস্যুকে সামনে রেখে ফের দিল্লি অভিযান তৃণমূলের। আগামী ৫ মার্চ দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুকুল বৈরাগ্য ও এই শাখার সদস্যরা। ধরনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন মুকুল বৈরাগ্য। চিঠি দিয়ে মমতা জানিয়েছেন, “আধার নিষ্ক্রিয় করা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি।” আগামিকাল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতও করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুকুল বৈরাগ্য জানিয়েছেন, তিনি রাঁচির অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সেখান থেকে জানতে পেরেছেন, দেশজুড়ে ৩২ কোটি আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে এ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, জলপাইগুড়ি, হুগলি ও মালদহের প্রায় সোয়া দুলক্ষ কার্ড রয়েছে। তবে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার ফলে একদিকে যেমন ব্যাঙ্কে লেনদেন করা যাচ্ছে না, মিলছে না কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা। অন্যদিকে রেশন মিলছে না। আশঙ্কা, এর পর ভোটার কার্ডও নিষ্ক্রিয় করা দেওয়া হবে। অসমের মতো এ রাজ্যেও ‘ডি-ভোটার’ বা ‘ডাউটফুল ভোটার’ করে রাখা হবে।
[আরও পড়ুন: যাবে না চাকরি, বরং তৈরি হবে নতুন সুযোগ, কৃত্রিম মেধার প্রসার নিয়ে দাবি IBM কর্তার]
রাজ্যের নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যানের তথ্য অনুযায়ী, যাদের কার্ড বাতিল হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের জবকার্ড হোল্ডার। যা দেখে মুকুল বৈরাগ্যের আশঙ্কা, জবকার্ড হোল্ডারদের মনরেগা প্রকল্পের বকেয়া টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই টাকা পাওয়া বানচাল করতেই আধার বাতিলের ষড়যন্ত্র করা হতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি। এসব আশঙ্কার কথা আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাবেন তিনি। আধার নিষ্ক্রিয় করার প্রতিবাদে ৫ মার্চ দিল্লিতে গিয়ে ধরনায় বসার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন মুকুল বৈরাগ্য। অনুমতি না পেলেও তিনি ধরনা দেবেন বলে জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পর এবার আধার নিষ্ক্রিয় করার প্রতিবাদে নমঃশূদ্রদের নিয়ে দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল।