সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘালয়ে মুক্তির সূর্য উঠবে। তৃণমূলের (TMC) হাত ধরেই উৎখাত হবে এনপিপি-বিজেপি (BJP) সরকার। মেঘালয়ের রাজাবালা মাঠের সভা থেকে দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রশ্ন তুলে দিলেন, বিজেপি যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের তত্ত্ব বারবার তুলে ধরে, সেই ডবল ইঞ্জিন সরকার পাঁচ বছরে কী করেছে?
অভিষেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, মেঘালয়ে পাঁচ বছর ডবল ইঞ্জিন সরকার চলার পরও কেন একটাও মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠল না? কেন মেঘালয়ের মানুষের মনের কথা না শুনে মেঘালয়ের জমি অসমের হাতে তুলে দেওয়া হল? অভিষেকের প্রশ্ন, কেন দিল্লি, গুয়াহাটি থেকে মেঘালয় চলবে? মেঘালয়ে এমন সরকার গড়তে হবে, যে সরকার মেঘালয়ের (Meghalaya) মানুষের কথা বলবে। বিজেপিকে, গুয়াহাটিকে তাঁদের ভাষায় জবাব দেবে। দিল্লি গুজরাট নয়, মেঘালয়ই মেঘালয়ের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে।
[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের দিন শেষ’, মেঘালয়ে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসিয়ে চমক তৃণমূলের]
অভিষেকের সাফ কথা, মেঘালয়ে পরিবর্তন দরকার, উন্নয়ন দরকার। আর সেই উন্নয়ন তৃণমূলের হাত ধরেই সম্ভব। কারণ, তৃণমূলই একমাত্র দল যারা মেরুদণ্ড বিক্রি করে না। বিজেপির বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারে একমাত্র তৃণমূলই। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ব। তবু মাথা নত করব না। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক গারোর সভা থেকে ঘোষণা করে দিলেন, মেঘালয়ে আর কদিন বাদেই নতুন সরকার তৈরি হবে। নতুন সরকার গঠন হলে মেঘালয়ের মা বোনেদের আর কোথাও হাত পাততে হবে না। নতুন সরকার হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmir Bhandar) সরকার। নতুন সরকার হবে উন্নয়নের সরকার।
[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের দিন শেষ’, মেঘালয়ে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসিয়ে চমক তৃণমূলের]
গারো পাহাড়ে এবার এনপিপি (NPP) শূন্য পাবে। বহুদিন আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিনরাজ্যে গিয়ে সেরাজ্যেরই শাসকদলকে ‘শূন্য’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার সেই আত্মবিশ্বাস অভিষেক কোথা থেকে পাচ্ছেন? বুধবারের রাজাবালা মাঠের সভা সম্ভবত সে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেল। বুধবারের মমতা-অভিষেকের সভাস্থলে হাজার হাজার মেঘালয়বাসীর উপস্থিতি বুঝিয়ে দিল, পাহাড়ি রাজ্যে এবার সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠেছে তৃণমূল।