সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের গোড়া থেকে ত্রিপুরায় (TMC in Tripura) জোরদার আন্দোলনে নামছে তৃণমূল। আগামী ৫ জানুয়ারি রাজভবন অভিযান করবে ঘাসফুল শিবির। ত্রিপুরা তৃণমূলের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরায় পুরভোটে ঘাসফুল ফুটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সে রাজ্যের পুরভোটে ভোট শতাংশের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল। কিন্তু তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে নারাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং দলের নেতা-কর্মীদের বিধানসভা ভোটের আগে ত্রিপুরায় আরও বেশি করে ঝাঁপাতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই মতোই নতুন বছরের গোড়া থেকে ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে সর্বমুখী আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: বাঁকুড়া থেকে ফেরার পথে গাড়িতে ধাক্কা লরির, জখম তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা]
এদিনের বৈঠক শেষে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, মূলত ১৫ দফা দাবিতে হবে এই অভিযান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসের উপর হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করা, সংবাদপত্রের অফিসে হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার, শিক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ বন্ধ করার মতো একাধিক বিষয়। সুবলবাবু জানিয়েছেন, ৫ জানুয়ারি বিবেকানন্দ ময়দানে হবে জমায়েত। সেখান থেকে রাজভবন অভিযান করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্যে আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা পুরভোটের ফলপ্রকাশের পরই গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। আগরতলার ওরিয়েন্ট চৌমুহনিতে গণঅবস্থানের কথা ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। ৪৮ ঘণ্টা আগে কর্মসূচির জন্য অনুমতিও চাওয়া হয়। কিন্তু সেই অবস্থানে বাধা দেয় পুলিশ। পশ্চিম ত্রিপুরার এসডিপিও (সদর) রমেশ যাদব তৃণমূলের রাজ্য আহ্বায়ক সুবল ভৌমিককে চিঠিতে জানান, ওই স্থানে গণ অবস্থানের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। কাজের দিনে বেশি সংখ্যায় লোক হলে ট্রাফিক সমস্যা ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হতে পারে বলে চিঠিতে সাফাই দেওয়া হয়েছে। এবার রাজভবন অভিযানের অনুমতি মেলে কি না সেটাই এখন দেখার।