নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিরোধী শূন্য বীরভূম (Birbhum) কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের পরিচালন সমিতি। মোট ৯ টি আসনের একটিতেও বিরোধীরা মনোনয়ন পেশ করেনি। মনোনয়ন জমা ও প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সমবায়ের নির্বাচন আধিকারিক।
২০১৩ সালে বামেদের হারিয়ে প্রথম বীরভূম কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। ২০১৮ সালে শেষ নির্বাচন হয়। তারপর এবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়া। নটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। এদিকে বিজেপি আগেই জানিয়েছে যে এই সমবায় নির্বাচনে তাঁরা অংশগ্রহণ করবে না। বামেরা দাবি করেছে, গোটা পদ্ধতিটাই ভুল। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত তৃণমূল ছাড়া আর কারও তরফে প্রার্থী দেওয়া হয়নি। যদিও শেষ পর্যন্ত আর কোনও প্রার্থী মনোনয়ন না দেন, বা তৃণমূল প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করে, সেক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী শাসকদল।
[আরও পড়ুন: পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ]
এবিষয়ে নির্বাচন আধিকারিক শ্যামলকান্তি বিশ্বাস জানান, আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার দাখিল করা মনোননয়ের স্কুটিটি করা হবে। ১২ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ফলত ওই দিন পর্যন্ত সময় রয়েছে। যদি আরও কোনও প্রার্থী মনোনয়ন না দেন, বা তৃণমূল প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করে, সেক্ষেত্রে ওই দিনই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, অনুব্রতর গড় বীরভূম বরাবরই তৃণমূলের দখলে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বেশ ভাল ফল করেছিল। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দলের তরফে প্রস্তুতি শুরু গিয়েছে। কিন্তু এবছর নিজের গড়ে নেই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় জড়িত সন্দেহে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে সমবায় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় যে বীরভূমের তৃণমূলকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।