জ্যোতি চক্রবর্তী ও শেখর চন্দ: উপনির্বাচনেও সবুজ ঝড়। রাজ্যের দুটি পুরসভা বনগাঁ ও আসানসোলের (Asansol) দুটি ওয়ার্ডের উপ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূল। ফলাফল প্রকাশিত হতেই শুরু হয়েছে বিজয় উৎসব। আবির খেলায় মেতেছেন নেতা-কর্মীরা।
গত পুরসভা ভোটে বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী দিলীপ দাস। কিন্তু শপথ গ্রহণের আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে আসানসোলের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুরভোটে জিতেছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র হন বিধান উপাধ্যায়। কিন্তু তিনি পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁকে কোনও আসনে জিতে আসতে হত। সেই কারণেই সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নির্দেশে পদত্যাগ করেন। গত রবিবার এই দু’ টি আসনে উপনির্বাচন হয়। বুধবার ছিল ফলঘোষণা।
[আরও পড়ুন: বিচারককে হুমকি চিঠি কে দিল? উত্তর পেতে CBI তদন্তের আরজি জানাবেন অনুব্রত]
এদিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় গণনা। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় দু’টি আসনের ফলাফল। বনগাঁর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ২ হাজার ৮৮২ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী পাপাই রাহা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। আসানসোলেও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বিধান উপাধ্যায়। ৬৬৮৩টি ভোট পেয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। তাঁদের ঝুলিতে ১২০৬ টি ভোট। যা অত্যন্ত তাৎপর্য পূর্ণ। আসানসোলে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে বিজেপি। এই ফল বামেদের সামান্য হলেও বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে, তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, ভোটের দিন বনগাঁ ও আসানসোল দু’টি জায়গাতেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। তৃণমূল-বিজেপি উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের এনে ভোট করানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। ফলপ্রকাশের পর সেই নিয়ে মুখ খুললেন বনগাঁর জয়ী প্রার্থী পাপাই রাহা। তিনি বলেন, “ওরা জানত হারবে, তাই বিভিন্ন রকম অভিযোগ করছিল।”