চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম (Nandigram)। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে ঝরল রক্ত। দু’পক্ষের মোট ১০ জন জখম। এঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ভেটুরিয়া সমবায় নির্বাচন ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকেই তপ্ত ছিল পরিস্থিতি। বেলার দিকে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে। পরিস্থিতি তপ্ত হতে শুরু করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তবে এত কিছুর পরও ভোটে জিততে পারেনি বিজেপি। ১২টি আসনেই জিতে সমবায় সমিতির দখল নিয়েছে তৃণমূল।
ভেটুরিয়া সমবায় সমিতিতে মোট ১২ টি আসন। একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। বাকি ১১টি আসনের জন্য শুক্রবার নির্বাচন চলছে। মূল লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএমও (CPM)। বেলা ১১টা নাগাদ তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ান। রীতিমতো রক্তারক্তি কাণ্ড শুরু হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যের স্কুলে মুসলিম প্রার্থনা সংগীত, সাসপেন্ড স্কুলের প্রিন্সিপাল]
এনিয়ে নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অরুণাভ ভুঁইঞা বলেন, ”ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে বিজেপি। আমাদের কর্মী, সমর্থকদের ধরে মারছে। আমাদের ১০ জন আহত, ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একেবারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেছে বিজেপি।” আর বিজেপির তরফে স্থানীয় নেতা মেঘনাদ পালের পালটা দাবি, ”বাধা আমরা নই, ওরাই ভোট দিতে দিচ্ছে না। ওরা বরং আমাদের মারধর করছে।” পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় মোতায়েন পুলিশ বাহিনী। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে এই নির্বাচনে ঘাসফুলের ব্যাপক সাফল্য নিঃসন্দেহে গেরুয়া শিবিরের কাছে চিন্তার।