চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: মহিষাদলে সমবায় ভোটে ফের মুখ থুবড়ে পড়ল রাম-বাম জোট। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল তৃণমূল। এবার মহিষাদলের কেশবপুর জনতা কোঅপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটির ভোটে জয়ের হাসি হাসল ঘাসফুল শিবির। আনন্দে মাতোয়ারা দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।
বুধবার ছিল কেশবপুর জনতা কোঅপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটির ভোট। মোট আসন ৬৭টি। তার মধ্যে ৬৬টি আসনে সহজে জয় পেয়েছে তৃণমূল। বাকি একটি আসনে জয়ী রাম-বাম জোট প্রার্থী। সমস্ত আসনে গোহারা হেরেছে রাম-বাম জোট। জয়ের পিছনে শাসক দলের প্রতি স্থানীয় মানুষের গভীর আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে বলে জানান বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “মানুষ সারাবছর রাজ্য সরকারের বহুমুখী প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে আসছেন। সমবায় পরিষেবায় কৃষকরাও ভীষণ উপকৃত হয়েছেন। এই সমবায় ভোটে কৃষক-সহ স্থানীয় মানুষের আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে।”
[আরও পড়ুন: গাড়িতে গুলিবিদ্ধ হলেও মেলেনি রক্তের দাগ, স্বামীর বক্তব্যেও অসংগতি! বাগনানে অভিনেত্রী খুনে নয়া মোড়]
কেবল কৃষি লোন নয়। সার্ভিস লোন, কেভিপি, এসএনসি লোন, এসএইচজি লোনের সুবিধা পেয়েছেন শত শত মানুষ। এবার ভোটে শাসক দলের প্রার্থীদের প্রতি ভরসা রেখেছে সাধারণ মানুষ। সমবায়ের বিদায়ী চেয়ারম্যান চন্দন কুমার পণ্ডা জানান, “বিজেপি এবং সিপিএম জোট করলেও বিরোধী শূন্য বোর্ড গড়ার পরিবেশ ছিল। একটি আসনে রাম-বাম জোট জয়ী হয়েছে। ব্যবধান নামমাত্র। কিন্তু ৬৬ আসনের সব কয়টিতে গড়ে ৭০-৮০ টি করে ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আগামী দিনে এই সমবায়কে বহুমুখী পরিষেবায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
সমবায়ে রয়েছে কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট। ফলে স্থানীয় গ্রামের মানুষ নাগালের মধ্যে ব্যাংকিং পরিষেবার সুবিধা পান। সার্বিকভাবে তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের উপর আস্থা তাঁরা অটুট রেখেছেন। জয়ের উচ্ছ্বাসে উদ্বেলিত তৃণমূল শিবির।