সৈকত মাইতি, তমলুক: পাঁশকুড়ার আরও একটি সমবায় নির্বাচনে সবুজ ঝড়। বিরোধীদের পিছনে ফেলে জয় পেল তৃণমূল (TMC)। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল সিপিএম। যা নিঃসন্দেহে বামেদের বাড়তি অক্সিজেন দেবে। তবে শুধু পাঁশকুড়া নয়, নন্দকুমার সমবায়েও বিজয়ী তৃণমূল।
আজ অর্থাৎ রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার অন্তর্গত মঙ্গলধারী ইউনাইটেড সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে নির্বাচন হয়। ভোটকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে ছিলো টানটান উত্তেজনা। দুপুর ২ টো পর্যন্ত চলে ভোট। বিকেলে শুরু হয় গণনা। গণনার পর দেখা গেল মোট ১২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ৭ টি। সিপিএম পেয়েছে ৪ টি। বিজেপির দখলে ১ টি আসন। তবে টসে জিতে ২ টি আসন নিজেদের দখলে পেয়েছে শাসক শিবির। সবমিলিয়ে ১২ টি আসনের মধ্যে ৭ টি পেয়ে বোর্ড দখল করল তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: অশোকনগরে নার্সিং পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু, ভাড়াবাড়ির খাটের নিচে মিলল গলার নলিকাটা দেহ]
তৃণমূলের অভিযোগ যে, সিপিএম এবং বিজেপির মধ্যে আঁতাত ছিল। ওরা নিজেরাই আসন ভাগাভাগি করেছে। কারণ যেখানে ভোট হচ্ছে এই অঞ্চলটি সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির। তবে সিপিএমের দাবি, বিধানসভা ভোটের পর থেকেই নতুন করে তাঁদের উপর বিশ্বাস তৈরি হচ্ছে মানুষের। তাই পুনরায় ফিরিয়ে আনছে সিপিএমকে। বিজেপির সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে এক বাম নেতা বলেন, “বিজেপির সঙ্গে সিপিএমের জোট হতে পারে না। যাঁরা করবে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁদের বহিষ্কার করা হবে।”
ভোটের ফলাফল প্রসঙ্গে বিজেপি বলে, “শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। মানুষ আবার ভোট দেওয়ার মধ্য দিয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছে।” তবে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে। তাঁদের অভিযোগ, লটারির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসতে হচ্ছে তৃণমূলকে। এই জয় তৃণমূলের নৈতিক জয় নয়। সব মিলিয়ে পাঁশকুড়া একের পর এক সমবায় সমিতি দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস।