অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: ভোটের আবহে ফের খুন! ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। রবিবার বিকেলের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের চর দুর্গাপুর কালী মন্দিরের পিছনের মাঠে। তিনি তৃণমূল কর্মী বলেই এলাকায় পরিচিত। তবে এই খুনের পিছনে রাজনীতি নেই বলেই জানিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম প্রসন্ন মণ্ডল (৫৫)। ঘটনায় খুনি মহাদেব মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জিজ্ঞাসা করার আগেই কালীনগর ১ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বিদায়ী প্রধান পিঙ্কি মণ্ডল জানান, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” যদিও জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি তৃণমূলের কর্মী ছিলেন আর খুনিরা কংগ্রেসের।
[আরও পড়ুন: বাপরে বাপ! বাবার গলাতেই মালা দিলেন পাক তরুণী, বিয়ের কারণ জানলে অবাক হবেন]
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক রাগের কারণে মহাদেব মণ্ডল ও তারা কয়েকজন মিলে প্রসন্ন মণ্ডলকে কুপিয়ে খুন করেছে। মৃতের বিদায়ী প্রধান পিঙ্কি মণ্ডল জানান, “প্রসন্ন মণ্ডলের ছোট ছেলে অমিয় মণ্ডলের সঙ্গে মহাদেব মণ্ডলের ভাইঝি’র প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মহাদেবের ভাইঝি অমিয়র সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। তার জেরে প্রসন্ন বারবার ওই মেয়েকে মহাদেবদের বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছে। শেষে গত ২৮ জুন আবার পালিয়ে গেলে বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়। সেখানে ওই মেয়ে অমিয়কে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় পুলিশ ওই নাবালিকাকে হোমে পাঠিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় প্রচন্ড রাগ হয় মেয়ের বাবা জয়দেব মণ্ডল ও তাঁর ভাই মহাদেব মণ্ডলদের।” মৃতের বন্ধু সুধীর মণ্ডল জানান, “প্রসন্ন মণ্ডল তাঁর ছেলের সঙ্গে মহাদেবের ভাইঝির বিয়ে না দেওয়ার জেরেই রাগে খুন করল।”
জানা গিয়েছে, মাঠ থেকে ঘাস কেটে ফেরার পথে মাঠেই কুপিয়ে জখম করে প্রসন্নকে। ওই অবস্থায় তাকে রানিনগরের গোধনপাড়া ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দেখে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায় ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় নেমে তদন্ত শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূর থেকে মহাদেবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।