চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: বিধায়কের অফিসের সামনে মাটিতে ফেলে মারধর করা হল তৃণমূল কর্মীদের। কাঠগড়ায় বিরোধী দল নয়, তৃণমূলেরই ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। শনিবার সন্ধেয় মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের দলীয় কার্যালয়ের বাইরে অশান্তি বাঁধে। দু’পক্ষ লাঠি নিয়ে একে উপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বেধড়ক মারধরে ৩ তৃণমূল কর্মী জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিধায়কের দাবি, ব্লক সভাপতির উসকানিতে অশান্তি বেঁধেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা বিধায়ককেই নিশানা করেছেন ভরতপুর ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। যদিও মুর্শিদাবাদের জেলা তৃণমূল সভাপতির দাবি, “দু’পক্ষকেই বোঝানো হয়েছে। এখন কোনও সমস্যা নেই।” কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতির এমন দ্বন্দ্ব রাজ্যের শাসকদলের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের।
তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় ভরতপুর বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুষ্ঠান চলার সময় হামলার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতি শুরু হয়। পরে লাঠি নিয়ে চড়াও হয় দুপক্ষই। মাটিতে ফেলে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয়। অভিযোগ, ভরতপুর এক তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলামের মদতে এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় বিধায়ক অফিসের ভিতরে ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কান্দির এসডিপিও সাগর রানা পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
[আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল স্কুলছাত্রী, বরাতজোরে রক্ষা দিদির]
ঘটনায় জখম হয়েছেন ৩ তৃণমূল কর্মী। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন কিষান খেতমজুর সহ-সভাপতি ইন্তাজ শেখ, খেতমজুরের কার্যকরী সভাপতি মেহবুব শেখ, তৃণমূল কর্মী সিরাজুল শেখ ও সামিম শেখ। কান্দি মহকুমা হাসপাতালে সকলের চিকিৎসা চলছে।
বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এই ঘটনার জন্য দলেরই ভরতপুরের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলামকে দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি,”আমরা এদিন তৃণমূলের বিধায়ক কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে আগামী দিনের কর্মসূচি আলোচনা করছিলাম। বর্ষপূর্তি উদযাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেই সময়ই ব্লক সভাপতি নেতৃত্বে কিছু কর্মী-সমর্থক আমাদের কার্যালয়ের ভিতর ঢুকে লাঠি এবং রড দিয়ে আমাদের কর্মীদের মারধর করে।” যদিও তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ নস্যাৎ করে ভরতপুর এক নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “যারা মারধর করেছে তাঁরা আমাদের লোকজন কেউ নয়। ওঁরা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে আমাদের নাম দিচ্ছে।”