শেখর চন্দ্র, আসানসোল: কলকাতার পর আসানসোলের বার্নপুর। ফের দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) লক্ষ্য করে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। শেষ পর্যন্ত বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঠিক কী হয়েছিল? বুধবার আসানসোলের বার্নপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বিজেপি চা চক্রের আয়োজন করা হয়। তাতেই যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। চা চক্র শেষ হতেই তৃণমূল কর্মীরা হাজির হন সেখানে। অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ যখন গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেন। ‘খেলা হবে’, ‘দিলীপ ঘোষ মুর্দাবাদে’র মতো নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা। তৃণমূল কর্মীদের স্লোগানের বিরোধিতা করেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। দু’পক্ষের বচসা বেঁধে যায়।
[আরও পড়ুন: ‘অন্যের রান্নাঘরে যৌন মিলন করেছিলাম’, নুসরতের শোয়ে গোপন কথা ফাঁস ঋতাভরীর]
দু’পক্ষের বচসা চলাকালীন বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দু’পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। কী কারণে বিক্ষোভ, তা স্পষ্ট করেছেন খোদ তৃণমূল কর্মীরাই। দলীয় কর্মী সৈকত দে’র দাবি, ত্রিপুরায় প্রতিনিয়ত বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার তৃণমূল নেতৃত্ব। তার প্রতিবাদেই দিলীপ ঘোষ এবং অগ্নিমিত্রা পলের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্থানীয় মানুষরা তৃণমূলের বিক্ষোভকে সমর্থন করেছে বলেই দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
এই ঘটনার সমালোচনায় সরব বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “কথা নেই বার্তা নেই তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কীসের বিক্ষোভ? কাজের কাজ করুন। চারিদিকে দুর্নীতি। নার্স, চিকিৎসকরা অনশনে বসে আসেন। শিশু বিক্রি করা হচ্ছে। হোমে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন মহিলারা। নিজের কাজটা আগে করুন। তারপর বিক্ষোভ।” এমনকী বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ‘গুন্ডা’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।