নন্দন দত্ত, বীরভূম: দেরি করে এলেও পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। এই আবদার না মানায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর কৃষ্ণ চন্দ্র কলেজ। ছাত্রদের আবদার না মেটানোয় সোমবার অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীদের তালা বন্ধ করে আটকে রাখল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। এদিন দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত তাঁদের আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভেনু ইনচার্জ অরিন্দম ঘোষ। তিনি জানান, পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টারও বেশি সময় পর কলেজে যান কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী। তাঁদের আবদার ছিল, সেই সময়ই তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে আর পরীক্ষা বসতে দেওয়া হয় না। তাই ওই ছাত্র-ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদ! ১০০ দিনের বকেয়া চেয়ে মোদিকে চিঠি রাহুলের]
অভিযোগ, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও শিক্ষাকর্মীদের তালা বন্ধ করে রাখে। ১২ টা থেকে ৪ টে পর্যন্ত আটকে রাখা হয় তাঁদের। দীর্ঘক্ষণ পর ঘেরাও মুক্ত হন তাঁরা। হেতমপুর কৃষ্ণ চন্দ্র কলেজের গভর্নিং বডির নমিনি অভিজিৎ মণ্ডল ও সাগর কুণ্ডু গিয়ে বিকেল সাড়ে ৪ টেয় তালা খুলে দেয়। অন্যদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য অর্পণ হাজরা জানান, “রাস্তায় জ্যাম থাকার জন্য ১০-১২ জন ছাত্রছাত্রীর কলেজে ঢুকতে একটু দেরি হয়ে যায়। কিন্তু অধ্যাপকরা পরীক্ষায় বসতে দেননি। তাই আমরা তাঁদের তালা বন্ধ করে রেখেছি। আমাদের দাবি, যাঁরা পরীক্ষা দিতে পারেনি তাঁদের অবিলম্বে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।”