শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ। উপাচার্যকে হেনস্তা করে জোর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায়-সহ ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তহবিল থেকে ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা আইনি খাতে খরচ করা হয়েছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের টাকা কোথায় খরচ করা হল তার শ্বেতপত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ করতে হবে। এই দাবি নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলন শুরু হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের শুরুর দিন থেকে উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। ১৬ দিন পর সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন তিনি। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে উপাচার্যের রুম ঘেরাও করা হয়। উপাচার্যের রুমের বিদ্যুৎ কেটে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীরা উপাচার্যের রুমে বসে পড়েন। স্লোগান চলতে থাকে। এদিন সরাসরি টাকা ফেরতের দাবি জানানো হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের।
[আরও পড়ুন: প্রদেশ সভাপতি থেকে সংগঠন, বঙ্গে কোন পথে চলবে কংগ্রেস? দিল্লিতে বৈঠকে বসছে হাইকমান্ড]
উপাচার্য তাঁদেরকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বোঝাবার চেষ্টা করেনষ। দেবাশিসবাবুর দাবি, এর আগে যিনি উপাচার্য বা প্রশাসক ছিলেন তাদের লিটিকেশনেরই আইনি লড়াই চলছে। অর্থাৎ পিটিশন বা মামলাকারী তাঁরাই। কিন্তু আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা মানতে নারাজ। তাঁরা কখনও অভিযোগ তুলেছেন, উপাচার্য ব্যক্তিগত কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার করছেন। কখনও অভিযোগ তোলেন সাংসদ কোটার টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতে ঠিকঠাক ব্যবহার করা হয়নি। যদি এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, যেহেতু উপাচার্য রাজ্যপাল কর্তৃক নিয়োগ হয়েছেন, তাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ যে কোনও অছিলায় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। শেষ পর্যন্ত উপাচার্য বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন এদিন।