নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলার মাটির গন্ধ পৌঁছে গেল দিল্লির সংসদের উচ্চকক্ষে। বুধবার আপাদমস্তক বাঙালি সাজে রাজ্যসভায় শপথ নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন সাংসদ প্রাক্তন আইএএস জহর সরকার (Jawhar Sirca)। শপথবাক্য পাঠ করলেন বাংলায়। সবমিলিয়ে এদিন রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) বাঙালির ঐতিহ্যকে বহন করলেন জহরবাবু। শপথগ্রহণের পর সাফ জানিয়ে দিলেন, “সংসদে প্রতিবাদ চলবে।”
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদে পদে নির্বাচিত হয়েছেন প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার। বুধবার সংসদে শপথ গ্রহণ করলেন তিনি। তার পরই রাজ্যসভার নবনির্বাচিত সাংসদ হিসেবে জহর সরকার জানিয়েছেন, “কোনও সরকারের গোয়েন্দাগিরি মানা যায় না। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবেই। সংসদ তো প্রতিবাদের জায়গাই।”
[আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: শেষ মুহূর্তে দুরন্ত কামব্যাক, ফাইনালে উঠে রুপো নিশ্চিত কুস্তিগির রবি কুমারের]
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার (Rajya Sabha MP) এই আসনটি ছেড়েছিলেন তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। তার পর থেকে ফাঁকাই পড়েছিল এই আসন। মনে করা হচ্ছিল, এই আসনে মুকুল রায় কিংবা যশবন্ত সিনহাকে মনোনীত করবে তৃণমূল। কিন্তু তা হয়নি। বরং প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইওকে মনোনয়ন দেয় তৃণমূল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন তিনি। বিজেপির তরফে কোনও প্রার্থী দেওয়া হয়নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন প্রাক্তন IAS অফিসার জহর সরকার।
মনে করা হচ্ছিল, দীনেশের জায়গায় মুকুল রায় বা যশবন্ত সিনহার মতো কোনও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদকে প্রার্থী করবেন মমতা (Mamata Banerjee)। বিশেষ করে ভেসে আসছিল যশবন্ত সিনহার নাম। বাজপেয়ী জমানার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কঠিন সময়ে মমতার পাশে ছিলেন। একুশের বিধানসভার আগে এরাজ্যের শাসকদলে যোগ দেন তিনি। লড়াইয়ে ছিলেন সদ্য তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করা মুকুল রায়ও (Mukul Roy)। তবে, সবাইকে চমকে দিয়েই জহর সরকারের নাম রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে তৃণমূল।