সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পরই ওই কেন্দ্রের সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক তথা অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায়। বলে দিলেন, “বাপের বেটা হলে নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে লড়ে দেখাক শুভেন্দু।” প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম শুভেন্দুর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত। ২০১৬ সালে নন্দীগ্রাম থেকেই বিধায়ক হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী।
সোমবার রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছেন, একুশের বিধানসভায় ‘লাকি’ নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে প্রার্থী হবেন তিনি। মমতার এই ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে ব্যাখ্যা করছেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। একইসঙ্গে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সৌগত বলেন, “ওঁর যদি হিম্মত থাকে এবং বাপের ব্যাটা হলে নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াক।” মমতার নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “দিদির সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে চূড়ান্ত। দিদি যদি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ায় তাহলে ওঁকে কে আটকাবে। সারা রাজ্যের কর্মীরা উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা আরেকবার অভিনন্দন জানাই”।
[আরও পড়ুন: একুশের নির্বাচন বড় চমক, নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার ঘোষণা মমতার]
বস্তুত, ২০০৯ উপনির্বাচন থেকেই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রটি তৃণমূলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে দলের সেই গড়ে নিজের ‘আস্থাভাজন’ শুভেন্দুকে দাঁড় করান মমতা। প্রত্যাশিতভাবেই এই কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জিতে আসেন শুভেন্দু। কিন্তু গত ১৯ ডিসেম্বর তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন শুভেন্দু। ছেড়েছেন বিধায়ক পদও। শুভেন্দুর দলত্যাগে নন্দীগ্রাম তো বটেই দুই মেদিনীপুরেই তৃণমূলের ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সোমবার রীতিমতো মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে মমতা ঘোষণা করলেন, নন্দীগ্রামে তিনিই প্রার্থী হবেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মমতা নিজে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার উদ্দেশ্য, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানো। এবং নিজের জেলাতেই তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা। সৌগত রায়ের কথাতেও সেই ইঙ্গিতই মিলল।