সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে ঊর্ধ্বমুখী করোনার (Covid-19) গ্রাফ। রাজ্যেও দৈনন্দিন আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড মোকাবিলায় নয়া নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য সরকার। নবান্নে শনিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিলেন, আরও কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় আরও কড়া হচ্ছে রাজ্য। আগামী ১৪ দিন বন্ধ বাস, মেট্রো-সহ সমস্ত গণপরিবহণ।আগামী রবিবার ভোর ছ’টা থেকেই চালু হচ্ছে এই নির্দেশিকা। ৩০ মে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই নিয়ম।
করোনা সংক্রমণ রুখতে নয়া রাজ্য সরকার কয়েকদিন আগেই বিভিন্ন বিষয়ে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। এবার আগামী ১৫ দিন আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। পাশাপাশি রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে নাইট কারফিউ। তবে এর মাঝেও কিছু কিছু পরিষেবায় মিলবে ছাড়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে জারি কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা, আগামী ২ সপ্তাহ বন্ধ বাস, মেট্রো-সহ সব গণপরিবহণ]
একনজরে দেখে নিন সেগুলি:
১. এই ১৫ দিন খোলা থাকবে রাজ্যের সমস্ত পেট্রল পাম্প।
২. চা বাগানে কাজ করবেন ৫০ শতাংশ কর্মী, জুট মিলে কাজ করতে পারবেন ৩০ শতাংশ শ্রমিক।
৩. বিয়ে বাড়ির আয়োজন করলেও উপস্থিত থাকতে পারবেন মাত্র ৫০ জন অতিথি। সৎকারের কাজে থাকতে পারবেন ২০ জন।
৪. সমস্ত ই-কমার্স, হোম ডেলিভারি চালু থাকবে। এছাড়াও সুইগি-জোম্যাটোর মতো অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপও ব্যবহার করা যাবে।
৫. ওষুধ, চশমার দোকানগুলি তাঁদের নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খোলা থাকবে।
৬. রাজ্যের সমস্ত জায়গায় মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা।
৭. মুদির দোকান, খুচরো দোকান, জরুরি পণ্য এবং বাজার চালু থাকবে সকাল ৭ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত।
৮. সরকারি-বেসরকারি সমস্ত অফিস বন্ধ থাকলেও খোলা থাকবে চিকিৎসা এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত প্রতিষ্ঠান।
৯. চিকিৎসা এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সবার জন্য থাকবে গণপরিবহণে ছাড়।
১০. ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম, খাদ্য পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি খোলা থাকবে।
১১. জরুরি পরিষেবায় চালু থাকবে ট্যাক্সি।
১২. পণ্য পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জরুরি পণ্য পরিবহণ যেমন- চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য (মাছ-দুধ-ডিম-মাংস) সরবরাহে রয়েছে ছাড়।
১৩. ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। পাশাপাশি এটিএম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকলেও টাকা ভরার কাজ সারতে হবে ওই নির্দিষ্ট সময়ের (সকাল ১০টা-দুপুর ২টো) মধ্যে।
১৪. রেশন দোকানেও পরিষেবার সময় অপরিবর্তিত থাকছে।
[আরও পড়ুন: গভীর রাতে শুটআউট চিত্তরঞ্জনে, গাড়ির মধ্যেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁজরা রেলকর্মী]
জরুরি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীরা যাতায়াত করবেন কি করে? পরিবহন দফতর সূত্রে খবর, শহরে স্বাস্থ্যকর্মীদের আনা নেওয়ার জন্য শুধু চালু থাকছে বাস। ডানলপ থেকে বেহালা, কামালগাজি থেকে টালিগঞ্জ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ছুটবে সরকারি বাস। প্রয়োজনে সেই সংখ্যা বাড়তে পারে। এর পাশাপাশি এয়ারপোর্ট এবং হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা ও সাতরাগাছি স্টেশনে যে সব যাত্রী আসবেন, তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে থাকবে ট্যাক্সি এবং অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা। থাকবে কয়েকটি বাসও। ওয়েস্টবেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের তরফেও দুটো নম্বর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য-৮৯১০০৭৯২১২, ৯৮০৪৪৫৮০৪৫। বেঙ্গল ট্যাক্সি আইসোসিয়েসনের জরুরি পরিষেবার জন্য যে নম্বর দেওয়া হয়েছে ৯৮৩১৩৬৪৮২৪, ৯৩৩৯০৫৩৬০৫