সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তায় বেরলো করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় কাঁপছেন? কেউ পাশে দাঁড়ালেই হাঁচলে কিংবা কাশলেই ভয় পাচ্ছেন? মনে হচ্ছে কোনওভাবে রাস্তাতেও জীবাণু সংক্রমণ রোধের বন্দোবস্ত হলে ভাল হত? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। কারণ, এবার থেকে বাজারে ঢোকার মুখেও জীবাণুনাশক টানেলের বন্দোবস্ত করল প্রশাসন।
লকডাউনের মাঝেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য অনেকেই বাজারে যাচ্ছেন। বাজারে একে তো লোকজনের ভিড়। তার উপর টাকাপয়সার আদান-প্রদান। তাই তাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্ট। করোনা সংক্রমণ রোধে তাই বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের কথা ভেবেই অভিনব ব্যবস্থা নিলেন তামিলনাড়ুর তিরুপুরের কালেক্টর কে বিজয়াকার্তিকেয়ন। তাঁর উদ্যোগেই থেন্নামপালায়াম সবজি বাজারে ঢোকার মুখে একটি টানেল বসানো হল। স্টিল দিয়ে ওই টানেলের নকশা তৈরি করেছেন ডি ভেঙ্কটেশ।
তিনি বলেন, “কীভাবে করোনা রোধ করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছিলাম। ইউটিউবে সে সংক্রান্ত নানা ভিডিও দেখছিলাম। দেখলাম বিদেশে এমন টানেল বিভিন্নভাবে কাজে লাগানো হয়। তাই শহরের ব্যস্ত থেন্নামপালায়াম সবজি বাজারে এই ধরনের টানেল তৈরি করার পরিকল্পনা দিই। কালেক্টরের সঙ্গে কথা বলার পর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়।” ১৬ ফুট লম্বা ওই টানেল তৈরিতে খরচ পড়েছে প্রায় ১ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে নামা সাফাইকর্মীকে টাকার মালা পরিয়ে সম্মান, ভাইরাল পাঞ্জাবের ভিডিও]
কীভাবে কাজ করবে ওই টানেল? বর্তমানে থেন্নামপালায়াম সবজি বাজারের প্রবেশপথে রয়েছে ওই স্টিলের টানেল। জীবাণুনাশক দেওয়া রয়েছে টানেলে। ভিতরে ঢুকে ৩-৪ মিনিট হাত তুলে দাঁড়ালেই প্রাণঘাতী ভাইরাসের আয়ু শেষ হবে। তার ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমবে। প্রশাসনিক আধিকারিকের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, করোনা গোটা বিশ্বে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে। তা সত্ত্বেও সাবধানতা অবলম্বন করেন না অনেকেই। তাই সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। তবে বাজারের মতো জনবহুল এলাকায় এমন টানেল দিয়ে ঢোকার ব্যবস্থা সত্যিই প্রশংসনীয়। এবার বাজারের বেরনোর রাস্তাতেও এমন টানেল তৈরির কথা ভাবছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: মুখে মাস্ক, মুক্তোর হার দিয়ে মালাবদল! করোনা আবহে ব্যতিক্রমী বিয়ের সাক্ষী নবদম্পতি]
The post জীবাণুনাশক টানেলে ঢুকলেই মরবে ভাইরাস! করোনা রুখতে নয়া ভাবনা প্রশাসনের appeared first on Sangbad Pratidin.